ঢাকা, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

ছাত্রদের আদর্শিক জীবন গড়তে গঠনমূলক শিক্ষা প্রয়োজন 

সম্পাদকের কলম

 প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৫, ০৫:১৫ বিকাল  

মেধা যাচাইয়ের জন্য বই পড়া, শেখা, পরীক্ষা দেওয়া, উত্তর লেখাÑ সবকিছু শিক্ষার্থীর জন্য মেধা যাচাইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এসব বিষয়ে কাটছাঁট করে শিক্ষাকে সংকোচন মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। বিদ্যালয় শিক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে। আমাদের শিক্ষায় শিশুশিক্ষার কী পরিস্থিতি, সেটি এখন যথেষ্টভাবে চিন্তার কারণ। দেশে নানা ধরনের সিলেবাসের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। সরকারি পাঠ্যসূচি পাঠক্রমে ২০২৪ সালের শিক্ষা সিলেবাস নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচনা দেখছি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাসের মধ্যে ব্যাপক ধরনের ভুলভ্রান্তি চোখে পড়েছে। ফলে অভিভাবকদের মধ্যে মন্দ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। 

বলার অপেক্ষা রাখে না- প্রাথমিক, ইবদেতায়ি মাদ্রাসা শিক্ষা, প্রাইভেট স্কুলশিক্ষা, শিশু-কিশোর বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একদিকে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি শিক্ষার দুটি ধারায় শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা পরিচালনা পদ্ধতি ও সিলেবাস প্রণয়ন ভিন্ন ভিন্নভাবে দেখছি। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ভাষায় বাংলাদেশের শিশুশিক্ষা পরিচালিত হচ্ছে। ধর্মীয় শিক্ষার আদর্শে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস থেকে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। শিক্ষা সমাপ্তকারী স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে শিক্ষিত লাখো বেকার সমাজকে কর্মসংস্থানের আওতায় এনে জাতীয় অর্থনীতিকে আরও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা জরুরি। সেখানে পড়বে, শিখবে, অনুশীলন করবে। পরীক্ষা দেবে, নিজেকে তৈরি করবে, চারিত্রিকভাবে জীবন গঠন করবে। ছাত্ররা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আগামী দিনের কর্ণধার। 

বলা বাহুল্য, আগামীর ভবিষ্যৎ ছাত্রদের জন্য আদর্শিক, নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়ে শিক্ষা পদ্ধতি নতুন করে সাজানো হোক। আমাদের জাতীয় জীবনের পদে পদে আদর্শিক নাগরিকের পদ-পদবি পূরণ করার জন্য নৈতিকতা সম্পন্ন জাতির বিকল্প নেই। তাই স্কুলকে শিক্ষামুখী, পরীক্ষামুখী, জ্ঞান অর্জনমুখী হিসেবে রাখতে হবে। সব ধরনের অপসংস্কৃতি কর্মকাণ্ড শিক্ষার নামে প্রচার ও অনুশীলন বন্ধ করতে হবে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বর্তমানে অভিভাবক ও শিক্ষাবিদরা মোটেও সন্তুষ্ট নয়। শিশু থেকে এসএসসি পর্যন্ত সব পর্যায়ে শিক্ষা সিলেবাসের মধ্যে পরীক্ষা পদ্ধতি থাকাই শ্রেয়। পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মেধার মূল্যায়ন করতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা, ছাত্রদের আদর্শিক জীবন গঠনমূলক শিক্ষার প্রতি নজর দেবেন সংশ্লিষ্টরা।

দৈনিক সরোবর/কেএমএএ