ঢাকা, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

গভীর শোক ও ক্ষোভের সঞ্চার দেশজুড়ে

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৫, ০৮:৩৪ রাত  

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম-'Nation engulfed by grief and anger'. অর্থাৎ, 'শোক ও ক্রোধে আচ্ছন্ন জাতি'।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মাগুরার আট বছরের মেয়েটির ওপর নিপীড়ন এবং মৃত্যুর ঘটনা দেশব্যাপী গভীর শোক এবং ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ছয় দিন ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল মেয়েটি মারা যায়।

তার মৃত্যুর পর মাগুরায় বিক্ষোভ শুরু হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

মেয়েটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় এবং লোকজনের মধ্যে অপরাধীদের দ্রুত বিচার এবং কঠোর শাস্তির দাবি ওঠে।

বাংলাদেশে শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু হয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নেটিজেনরা দুঃখ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে দ্রুত দোষীদের বিচার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার ঘটনাটিকে ‘অকল্পনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মেয়েটির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে ন্যায়বিচারের জন্য আওয়াজ তোলা হচ্ছে। মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতি অভিযুক্তদের কোনো আইনি সহায়তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং জেলা মহিলা পরিষদও বিচার না হওয়া পর্যন্ত শিশুটির পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এই ঘটনাটি দেশের নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে আরও গুরুতরভাবে সামনে এনে দিয়েছে এবং জাতির জন্য এক লজ্জাজনক মুহূর্ত বলে অভিহিত করা হয়েছে।

মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম,-'জবাব দিতে সময় চেয়েছে বেশির ভাগ দল'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ সম্পর্কে বিএনপি, জামায়াতসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল মতামত দিতে সময় চেয়েছে।

মোট ৩৭টি দলকে মতামত দিতে বলা হলেও, ১৬টি দল সময় চেয়ে যোগাযোগ করেছে, আর ৭টি দল মতামত জমা দিয়েছে।

সময় চাওয়া দলগুলোর মধ্যে বিএনপি, জামায়াত এবং গণতন্ত্র মঞ্চ রয়েছে। এসব দল টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে রাজি নয়, তারা বিস্তারিত মতামত জমা দিতে চাইছে।

তারা বলেছেন, নির্ধারিত ফরমে টিক চিহ্ন দেওয়ার মাধ্যমে তাদের পক্ষ থেকে মতামত দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ তারা আরো বিস্তারিত আকারে মতামত দিতে চান।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব দলের সঙ্গে আলাদা আলোচনা করবে।

বিএনপি ও জামায়াত তাদের মতামত পূর্ণাঙ্গ আকারে জমা দিতে কাজ করছে।

বিশেষ করে বিএনপি তাদের সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবের বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করছে, যা এক হাজার পৃষ্ঠা ছাড়িয়ে গেছে।

তারা যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে পরে কমিশনে জমা দেবে। জামায়াতও পূর্ণাঙ্গ মতামত দেবে এবং যেখানে একমত হবে, সেখানে টিক চিহ্ন দেবে। রাজনৈতিক দলগুলো সময় চেয়ে জানিয়েছে যে ঈদের পর মতামত দিতে সুবিধা হবে।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম,-'মাগুরার শিশুটিকে বাঁচানো গেল না'

প্রতিবেদনে মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুর খবরটি তুলে ধরা হয়েছে।

খুব অল্প বয়সে নির্মমতার শিকার হতে হয়ে শেষ পর্যন্ত পৃথিবী থেকে চলে যেতে হলো তাকে। শিশুটির মা এ ঘটনার পরে আবেগের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘মণি চলে গেছে।’

শিশুটি তার বোনের শ্বশুড়বাড়িতে থাকাকালীন গত পাঁচই মার্চ নিপীড়নের শিকার হয়। এ ঘটনার ৯ ঘণ্টা পর ছয়ই মার্চ শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

চিকিৎসকরা জানান, যৌন নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। চিকিৎসা চলাকলীন সময়ে তার অবস্থার অবনতি ঘটে এবং শিশুটি হাসপাতালে মারা যায়।

শিশুটির মা বারবার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। চিকিৎসকরা জানান, যদি ঘটনার পর অবিলম্বে চিকিৎসা দেওয়া হতো, তবে শিশুটি হয়তো বাঁচতে পারতো।

হাসপাতালের চিকিৎসক এবং সমাজের সব স্তরের মানুষ শিশুটির মৃত্যুর খবরে শোকাহত হয়েছিলেন।

মারা যাওয়ার পর শিশুটির মরদেহ মর্গে পাঠানো হয় এবং ময়নাতদন্তের পরে তার স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি নিয়ে সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম-'আগামী বছরই উন্নয়নশীল দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ আগামী বছর (২০২৬) স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করবে।

এই উত্তরণের জন্য সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

গতকাল তিনি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন। ২০২৬ সালের নভেম্বরেই বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করবে।

এক ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই উত্তরণের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে আরও মর্যাদা অর্জন করবে এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

তবে, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা হারাবে এবং ট্রেড-রিলেটেড মেধাস্বত্ত্ব অধিকার (টিএরআইপি) কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

প্রেস সচিব আরো জানিয়েছেন, সরকারি খাতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠা ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।

এছাড়া, দেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় দ্রুত জনবল নিয়োগের জন্য কেবিনেট সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা মোকাবিলা করার জন্যও একাধিক প্রকল্পের পর্যালোচনা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে আগামী বর্ষায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর-'এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে আজ ইফতার'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। সফরের প্রথম দিনেই গুতেরেস কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন এবং এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন।

গুতেরেস জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান থাকাকালীনও রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছিলেন, এবং জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে তিনি আগেও এখানে এসেছিলেন।

সফরের পরের দিন, তিনি সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

গুতেরেসের এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্যের পরিমাণ অনেক কমে গেছে।

বিশেষ করে, সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় রোহিঙ্গাবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে, তাই তার এই সফর আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

পাশাপাশি, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এই সফরের আলোচনায় আসতে পারে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্যে নির্বাচনের ব্যাপারে কী ধরনের বার্তা আসবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম-'বেতন-বোনাসের চাপে শিল্প আরো নাজুক'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে শিল্প খাত চরম সংকটে পড়েছে।

রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অধিকাংশ শিল্প-কারখানা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং উৎপাদন কমে গেছে।

অনেক কারখানায় উৎপাদন ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে, আর সরকারি প্রকল্পগুলোও স্থবির হয়ে পড়েছে।

এই অবস্থায় মালিকরা ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছেন।

তৈরি পোশাক শিল্প কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও কাঁচামাল আমদানি ও জ্বালানি সংকটের কারণে তারা চাপে রয়েছে।

অনেক মালিক সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে, যাতে বেতন-বোনাস দেওয়া সম্ভব হয়।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সরকারের কাছে সাত হাজার কোটি টাকা সহায়তা চেয়েছে।

কারণ তাদের নগদ অর্থের সংকট রয়েছে এবং ঈদের সময় শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে না পারলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।

অন্যদিকে, পাট ও পাটজাত পণ্য খাতও সংকটে রয়েছে, যেখানে দুই লাখ শ্রমিকের বেতন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

গ্যাসের সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং স্থানীয় বাজারে অনেক পণ্য বিক্রি হয়নি।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম- '90K tonnes soybean floating at river ports, slow delivery raises oil supply fear'. অর্থাৎ, 'নদী বন্দরে ভাসমান ৯০ হাজার টন সয়াবিন, সরবরাহে ধীরগতি তেল সরবরাহের আশঙ্কা বাড়িয়েছে'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের নদী বন্দরগুলোতে প্রায় ৯০ হাজার টন সয়াবিন আটকে রয়েছে, যা চাহিদা পূরণে বাধা সৃষ্টি করছে এবং তেল সরবরাহে সংকটের আশঙ্কা তৈরি করছে।

বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন সেল-এর তথ্য অনুযায়ী, সয়াবিনের এই কনটেইনারগুলো বিভিন্ন নদী বন্দরগুলোতে প্রায় এক মাস ধরে আটকে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সয়াবিন তেল উৎপাদনে কাঁচামালের সংকট তৈরি হয়েছে এবং এ কারণে তেলের দাম বাড়ছে।

বাংলাদেশ কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) অভিযোগ করেছে যে, ব্যবসায়ীরা সয়াবিনের কনটেইনারগুলোকে 'ভাসমান গুদাম' হিসেবে ব্যবহার করছে যাতে সরবরাহ সংকট তৈরি করে এবং বাজারে দাম বাড়ায়।

তবে আমদানিকারকরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এছাড়া, আরো ৩২৫টি লাইটার ভেসেল যেগুলো গম ও ডাল নিয়ে এসেছে, সেগুলোও একইভাবে আটকা পড়েছে।

এই অবস্থার কারণে বাজারে পণ্যের সরবরাহ সংকট তৈরি হতে পারে যা ঈদ মৌসুমে খুচরা দামে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, 'চীনের বড় আর্থিক সমর্থন নিয়ে আশা সংশয় দুই- থাকছে'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২৬ মার্চ ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনে তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তার এই সফরের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের জন্য চীন থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা পাওয়া।

যদিও চীনের কাছ থেকে গত কয়েক বছর ধরে বড় কোনো ঋণ সহায়তা প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন সহায়তা পেতে পারে।

চীন বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করছে, যেমন পদ্মা সেতু রেললিংক এবং বিদ্যুৎ সিস্টেম সম্প্রসারণ। তবে, দুই বছর ধরে বড় কোনো ঋণ চুক্তি হয়নি।

সফরের সময় ড. ইউনূস চীনের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং বোয়াও ফোরাম এশিয়া কনফারেন্সে অংশ নেবেন।

চীন থেকে বড় ধরনের সহায়তা আসবে কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।

তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীন কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করে, বরং দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে সম্পর্ক বজায় রাখে।

এই সফরটি বাংলাদেশ এবং চীনের সম্পর্ক আরও জোরালো করার একটি সুযোগ হতে পারে, বিশেষ করে চীনের বাণিজ্যিক সহায়তার পরিপ্রেক্ষিতে।

সমকালের প্রথম পাতার খবর-'ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০% হলে লভ্যাংশ নয়'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন একটি নীতিমালা জারি করেছে, যার ফলে কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশ হলে, সেই ব্যাংক আর লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে না।

এর মানে হলো, যদি কোনো ব্যাংক মূলধন বা প্রভিশন ঘাটতি রাখে, তবে লভ্যাংশ দেওয়া নিষিদ্ধ। আর্থিক অবস্থার উন্নতি এবং ভালো মুনাফা সত্ত্বেও, ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ সীমা মেনে চলতে হবে।

কোনো ব্যাংক পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ অথবা নিট মুনাফার ৫০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিতে পারবে না।

ব্যাংকগুলোকে শুধু তাদের মুনাফা থেকে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে নয়।

পাশাপাশি, ব্যাংকের ঋণ, বিনিয়োগ, বা অন্য কোনো সম্পদে সংস্থান ঘাটতি থাকলে বা সিআরআর ও এসএলআর ঘাটতির কারণে জরিমানা থাকলে, তারা লভ্যাংশ প্রদান করতে পারবে না।

গত ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা পৌঁছেছে, যা মোট ঋণের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, খেলাপি ঋণ আরও বাড়বে এবং আগামীতে অনেক ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারবে না। সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা

দৈনিক সরোবর/এএস