ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ তিন দিন পর ফেরত

পঞ্চগড় সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ১২:৫৬ দুপুর  

পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের (৩৬) মরদেহ তিন দিন পর ফেরত দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্তের জিরো লাইনে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। আজনবুধবার সকালে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে নিহত আলামিনের পরিবার।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত আনার জন্য কূটনৈতিক যোগাযোগ ও পতাকা বৈঠক করা হয়। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ। সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে ভারতের রাজগঞ্জ থানার পুলিশ তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। এ সময় ভারতের রাজগঞ্জ থানার পরিদর্শক অনুপম মজুমদার তেঁতুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নরেশ চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন। পরে পরিবারের পক্ষে মরদেহ গ্রহণ করে নিহত আলামিনের বড় ভাই মোস্তফা কামাল।

গত শনিবার ভোরে পঞ্চগড় সদরের ভিতরগড় ইউনিয়নের নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ভিতরগড় সীমান্ত বিওপি এলাকার সুইডাঙ্গা সীমান্তে পিলার ৭৪৪/৭ এস হতে আনুমানিক ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ভাটপাড়া এলাকায় সীমান্তে ভারতের ৪৬ ভাটপাড়া বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের গুলিতে নিহত হন আল আমিন। পরে বিএসএফ তার মরদেহ নিয়ে যায়। নিহত আল আমিনের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাতপাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন গরু ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

দৈনিক সরোবর/কেএমএএ