আফ্রিকায় ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৫, ০৮:৪২ রাত

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল গাজা পুনর্গঠনের জন্য ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন করতে পূর্ব আফ্রিকার তিনটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে শুক্রবার এই খবর জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের প্রস্তাব নিয়ে সুদান, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তবে এই প্রস্তাব সুদান তৎক্ষণাৎ নাকচ করে দিয়েছে বলে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়। আর সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের সঙ্গে ফিলিস্তিন বিষয়ক কোনও প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগই করা হয়নি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হোয়াইট হাউজ ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে কোনও সাড়া পায়নি রয়টার্স। এদিকে, সোমালিয়া ও সোমালি ল্যান্ডের তথ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফোন করা হলেও অন্য পাশ থেকে কেউ সাড়া দেয়নি।
উল্লেখ্য, গাজা পুনর্গঠনে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের কথা হুট করে প্রকাশ্যে আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মাসে আকস্মিকভাবে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে তাদের জর্ডান, মিসর ও অন্যান্য আরব দেশে পুনর্বাসনের প্রস্তাব করেন তিনি। এই সময় ট্রাম্প গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা বানানোর পরিকল্পনা পেশ করেন।
তবে তার পরিকল্পনার বিকল্প নিয়ে এগিয়ে আসে মিসর। চলতি মাসে আরব লীগের সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠনে কায়রোর প্রস্তাবে সম্মত হন আরব নেতারা। ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের এই প্রকল্পে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার প্রয়োজনীয়তা নেই।
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজা থেকে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদের ভয় জেঁকে বসে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। অবশ্য, ইসরায়েল ছাড়া বিশ্ববাসীর সমালোচনার শিকার হয়েছে ট্রাম্পের এই প্রস্তাব।সূত্র: এপি
দৈনিক সরোবর/এএস