সবার সহযোগিতায় দ্রুত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হোক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ১২:৩৯ দুপুর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রথম থেকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সংকটসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তবে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে নানা ধরনের দাবি-দাওয়া। এগুলোর কারণে অনেক অসন্তোষ ও সহিংসতার প্রকাশ ঘটছে এবং নানা ধরনের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের মূল ভূমিকায় ছিল ছাত্র ও তরুণ সমাজ। কোটা আন্দোলন ও পরবর্তী গণঅভ্যুত্থান ঘিরে নিহতদের বেশিরভাগ ছাত্র, চাকরিপ্রত্যাশী, তরুণ ও শিশু-কিশোর। তারা আজ পৃথিবীতে নেই। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তাছাড়া ছাত্ররা দীর্ঘকাল রাজপথে থাকবে না এবং এমনটাও আশা করাও ঠিক নয়। তাদের পড়াশোনায় ফিরে যেতে হবে।
শুধু নিয়োগ প্রতিষ্ঠান নয়, দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ধ্বংস হতে যাচ্ছিল। কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর এ দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ছিল না। পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন সবখানে একই অবস্থা। বিগত দিনে লক্ষণীয়, কিছু মানুষ অতি দ্রুত সময়ে দুর্নীতি আর অপকর্ম করে অঢেল ধনসম্পদ ও টাকা-পয়সার মালিক হয়েছে, আবার অনেকে বিদেশে পাচার করেছে। এমন অবস্থায় এই সরকারের কাছে সবার প্রত্যাশা দেশের সবকিছু স্বাভাবিক করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেশে একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারার যাত্রা শুরু করা।
আমরা মনে করি, দেশে বিগত দিনে অনেক ঘটনার কারণ মূলত সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব। কার্যকর সংসদ ও বিরোধী দল থাকলে এমনটা নাও হতে পারত। স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠান না গড়ে, সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চা না করে, দেশে অসন্তোষ রেখে উন্নয়ন করলে তা কখনো টেকসই হয় না। জনতার বিক্ষোভের প্রবল আঘাতে এক সময় তাসের ঘরের মতো ভেস্তে যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বর্তমান সরকারের কাছে সবার প্রত্যাশা, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেশে একটি গণতান্ত্রিক ও ক্ষমতা হস্তান্তরের সুস্থ ধারার যাত্রা শুরু করা। এ জন্য সবার উচিত এই সরকারের আসল কাজটি করতে দেওয়া। আমাদের বিশ্বাস, সবার সহযোগিতায় এ দেশ দ্রুত একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
দৈনিক সরোবর/কেএমএএ