‘সমালোচনা করতে গিয়ে জনগণের দাবি থেকে সরা যাবে না’
প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৫, ০৯:১১ রাত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমালোচনা করতে গিয়ে রাজনীতিবিদরা যেন জনগণের দাবি থেকে সরে না আসে সে ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এমনটা ঘটলে দেশের সব সম্ভাবনা বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। বিএনপি দায়িত্ব পেলে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করবে। সমালোচনা করতে গিয়ে আমরা যেন জনগণের দাবি থেকে সরে না আসি। এমন হলে দেশের সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যেতে পারে।
সব দলের নিজস্ব প্রস্তাবনা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু সংস্কার, নির্বাচনী ব্যবস্থা বা নির্বাচন নয়, মানুষের জন্য স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বাজার ব্যবস্থা ও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সব দলের নিজস্ব প্রস্তাবনা দেওয়া প্রয়োজন।
তারেক রহমান বলেন, নিত্যপণ্যের দাম নাগালে আনতে রাজনৈতিক দলগুলো কেন বিতর্ক করছে না। ক্ষমতায় এলে মানুষের সমস্যা কীভাবে সমাধান করা হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করতে হবে।
বাংলাদেশে এক কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের পরিবর্তে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট হলে কী কী হবে, এসব নিয়ে আলোচনা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নিয়ে কথা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়ে কথা হচ্ছে।
তারেক রহমান বলেন, প্রায় ২০ কোটি মানুষের দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা কী হবে? বাজার ব্যবস্থা কী হবে? এসব নিয়ে কথা বলার নামও তো সংস্কার। শুধু কী নির্বাচনের সময় বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বলাই কী সংস্কার? যাতে মানুষ মিনিমাম চিকিৎসা সুবিধা পায় সেটিও ভাবতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষা দিতে হলে একটি শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। এ বিষয়েও ডিবেট বা কর্মপরিকল্পনা থাকা উচিত প্রত্যেকটি দলের। শিক্ষা ব্যবস্থাকে কীভাবে দেখতে চাই, সেটিও সংস্কারের অংশ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদেরকে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। ২০ কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান করা ও চাহিদা মেটাতে হলে এটা করতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন খাল খননের মাধ্যমে কৃষক যে জমিতে এক ফসল হতো সেখানে দুইবার ফসল ফলিয়েছেন। যেখানে দুইবার ফসল হতো সেখানে তিনবার ফসল ফলিয়েছেন। বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। তিনি কৃষকের মেরুদণ্ড ধীরে ধীরে মজবুত করেছিলেন। এটিও তো অনেক বড় সংস্কার। আমাদেরকে শিল্পোন্নয়নের কথা ভাবতে হবে। কীভাবে উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তা দেওয়া যায় সে বিষয়েও চিন্তা করতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এটাও কিন্তু অনেক বড় সংস্কার।
অনুষ্ঠানে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের সভাপতিত্বে আরো অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক এবং পেশাজীবীরা।
দৈনিক সরোবর/ইএইচপি