‘কোনো অজুহাতেই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পেছানোর সুযোগ নেই’
প্রকাশিত: মার্চ ০৫, ২০২৫, ০৮:১৫ রাত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেছেন, কোনো অজুহাতেই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পেছানোর সুযোগ নেই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাহাজশিল্পের এক সেমিনারে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া একটা আইনি প্রক্রিয়া। সেটা চলতেই থাকবে। সেটাতে শেখ হাসিনার শাস্তি হবে। তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা আছে। এগুলো বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটার পর একটার সমাধান হতেই থাকবে।
‘কিন্তু এই বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকার পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক নেই। এই বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে নির্বাচনেরও কোনো সম্পর্ক নেই’- বলেন তিনি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আজকে এটার জন্য হবে না নির্বাচন, কালকে আরেকটার জন্য হবে না, পরশু আরেকটার জন্য হবে না, এরকম কত কথাই তো শুনতেছি।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছর আমরা নির্যাতিত হয়েছি, অত্যাচারিত হয়েছি, প্রাণ দিয়েছি। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু হবে, বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারবে, দল গঠন করতে পারবে, মতামত প্রকাশ করতে পারবে, মতামত জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারবে।
‘সুতরাং যেকোনো দল তাদের মতামত নিয়ে আসতে পারে। সেখানে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু সেই মতামতের সিদ্ধান্তে আমাদের আসতে হবে। মতামত সবার থাকতে হবে, আমাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব আছে। এটা আমরা কালকেই বাস্তবায়ন করতে পারব না। আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে।’
আমীর খসরু বলেন, আগে ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে আসতে হবে। এরপর যেকোনো বিষয় সংসদে আলোচনা হবে, বিতর্ক হবে। তারপর সংসদে পাস হবে। সোজা কথা ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে যেসব সিদ্ধান্ত আসবে সেখানে কারো তো কোনো সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, কিন্তু আমি এটা প্রস্তাব কর...এটা হতে হবে, এটা করতে হবে...এ ধরনের মন-মানসিকতা যদি থাকে, তাহলে তো আবার শেখ হাসিনার কথা মনে পড়ে যায়। ঐকমত্য হলে ভালো, কিন্তু ঐকমত্য না হলে আপনাকে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের ম্যান্ডেট নেন। এছাড়া তো পথ নেই।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন প্রমুখ।
দৈনিক সরোবর/ইএইচপি