দেশজুড়ে রমরমা মামলা বাণিজ্য
প্রকাশিত: জানুয়ারী ০৬, ২০২৫, ০৮:১০ রাত

দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম-আসামি বাণিজ্য চলছেই, মামলা ছাড়াও গ্রেপ্তার।
খবরটিতে বলা হয়েছ, গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ জুড়ে গণহত্যা মামলা নিয়ে বাণিজ্য চলছেই। সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নিয়ে মামলা বাণিজ্য বন্ধ করা যাচ্ছে না। এসব মামলা বাণিজ্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে খোদ পুলিশ কর্মকর্তারা জড়িয়েছেন।
খবরে আরো বলা হয়েছে যে, প্রকৃত আসামির পাশাপাশি নিরীহ ব্যক্তিদের আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে। আবার টাকার বিনিময়ে প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে না। অন্যদিকে, মামলায় নাম নেই এমনকি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্পৃক্ততা নেই এমন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচই অগাস্টের পর গণহত্যার ঘটনায় করা ঢালাও মামলার তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের যেসব কর্মকর্তারা এসব মামলার তদন্ত করছেন তারা কুলকিনারা করতে পারছেন না। কারণ হত্যা মামলা আদালতে প্রমাণ করার জন্য যেসব তথ্যপ্রমাণ ও আলামত লাগে সেগুলো পুলিশের কাছে নাই। এ ছাড়া ঘটনার অনেক পরে মামলা হওয়াতে কোনো আলামতও পাওয়া যাচ্ছে না।
ফলে হত্যা মামলা প্রমাণ করার জন্য ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, হত্যার আলামত, যে অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেটি বা গুলি করে হত্যার আলামত তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে নাই। তাই মামলার তদন্ত বাদ দিয়ে পুলিশ এজাহারে নাম আছে এমন ব্যক্তি এবং অনেক সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। গ্রেপ্তারের পর ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। আবার টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে নাম বাদ দিচ্ছে বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, ২৪ দফার ইশতেহার নিয়ে সামনে আসছে তরুণদের দল।
বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে যে, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে সারা দেশে সাংগঠনিক বিস্তৃতি ঘটাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তরুণদের এই দল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে নতুন দেশ গড়তে ২৪ দফার ইশতেহার নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে। সেই ইশতেহারে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে তরুণরা কীভাবে দেশকে গড়ে তুলতে চায়, সেসব বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। আর জাতীয় ঐক্যই দলটির মূল আদর্শ হবে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে নতুন দলের আত্মপ্রকাশে ভূমিকা পালন করলেও জাতীয় নাগরিক কমিটি আলাদা প্ল্যাটফর্ম হিসেবেই থেকে যাবে।
খবরে আরো বলা হয়েছে যে, নতুন দলের প্রধান একক কর্তৃত্বশালী যেন না হয়ে ওঠেন, সেজন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাকে অপসারণের ব্যবস্থা দলটির গঠনতন্ত্রে থাকবে। এছাড়া দলের প্রধান দেশের সরকার প্রধানসহ নির্বাহী কোনো পদে থাকতে পারবেন না।
অন্যদিকে, কারো পারিবারিক পরিচয়ে নয়, বরং যোগ্যতার ভিত্তিতে যেন তৃণমূল থেকে নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে উঠে আসতে পারেন, সেটিও গঠনতন্ত্রে প্রাধান্য পাবে বলে খবরে বলা হয়েছে। দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম-খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে জনমনে কৌতুহল।
খবরের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে যে, উন্নত চিকিৎসার জন্য অবশেষে আগামী সাতই জানুয়ারি মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এবারের বিদেশযাত্রার উদ্দেশ্য কেবল চিকিৎসা বলে দলের পক্ষ থেকে বলা হলেও সফরটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার এখনকার শারীরিক অবস্থা কেমন? তিনি কোন দেশের কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন? কবেই-বা দেশে ফিরবেন? এমন নানান প্রশ্ন ঘিরে মানুষের মধ্যে কৌতুহল রয়েছে।
বিএনপি নেতাদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে যে, সাতই জানুয়ারি রাত দশটায় কাতার এয়ারলাইনসের বিশেষ একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন খালেদা জিয়া। লন্ডনে পৌঁছালে সাত বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেখা হবে।
চিকিৎসা চলাকালে বিএনপি চেয়ারপার্সন কিছুদিন ছেলের সঙ্গেই থাকতে পারেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবেন তিনি। সেখানকার মেরিল্যান্ডের পূর্ব বাল্টিমোরে অবস্থিত জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে খালেদা জিয়ার। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে খবরে আরো বলা হয়েছে যে, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি। তার লিভার প্রতিস্থাপন করা হলে পুরো চিকিৎসা শেষ হতে কয়েক মাস লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চিকিৎসা শেষ হলে বিএনপি চেয়ারপারসন আবার লন্ডনে যেতে পারেন এবং সেখান থেকে দেশে ফেরার পথে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে দৈনিক দেশ রূপান্তরেও প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে। 'খালেদা জিয়া লন্ডনে যাচ্ছেন কাল'- শিরোনামের খবেরটিতে বলা হয়েছে যে, দলের চেয়ারপার্সন দেশ ছাড়ার আগে রোববার রাতে দলের নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্যরা খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাদেরকে বেশ কিছু দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির নেতাদের বরাত দিয়ে খবরটিতে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে বলে নেতাদের জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। দেশবিরোধী সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের সবাইকে সতর্ক থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
খবরে আরো বলা হয়েছে যে, কুয়েতের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের উদ্দেশ্য রওনা হবেন খালেদা জিয়া।
বুধবার লন্ডনে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রায় সাত বছর পর মা-ছেলের সরাসরি সাক্ষাৎ হবে। এর আগে, ২০১৭ সালে ১৬ই জুলাই চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে খবরটিতে বলা হয়েছে, লিভার সিরোসিসসহ একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগতে থাকা ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লন্ডনে দুই মাস অবস্থান করতে পারেন।
সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা-দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম এটি। বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে যে, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রোববার এ কথা জানিয়েছেন।
ক্ষমতায় থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তার বাবার খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করেছিলেন, তার দ্বিগুণ চেষ্টা করে হলেও শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে বলে জানান তিনি। এক্ষেত্রে ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার আশাবাদী বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বরাত দিয়ে খবরে আরো বলা হয়েছে যে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রস্তুতের বিষয়ে কাজ চলছে। এ নিয়ে আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করবে সরকার।
গ্যাস সংকট নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম-দেশজুড়ে তীব্র গ্যাস সংকট/ হাহাকার বাসাবাড়ি শিল্পকারখানায়।
বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী এখন তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। এক সপ্তাহ ধরে এই সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাসাবাড়িতে চুলা জ্বলছে না। ঘুরছে না শিল্পকারখানার চাকা। ক্রেতা ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় কারখানা চালু রাখছেন শিল্প মালিকরা। সিএনজি ফিলিং স্টেশনেও গ্যাসের চাপ নেই। গ্যাস নিতে গাড়ির দীর্ঘ লাইন রাজধানীজুড়ে যানজট সৃষ্টি করছে।
খবরে আরো বলা হয়েছে যে, শীতের তীব্রতায় গ্যাসের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গেছে। কিন্তু সেই তুলনায় সরবরাহ বাড়েনি। এর মধ্যে মাতারবাড়ির মহেশখালীতে একটি ভাসমান রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) গত এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকায় সংকট তীব্রতর হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে সব মিলিয়ে দেশে প্রায় এক হাজার থেকে ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে। আর গ্যাস সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের গার্মেন্টের মতো রপ্তানিপণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলো।
পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ না হলে তারা বিদেশি ক্রেতাদের কাছে সময়মতো অর্ডার সাপ্লাই করতে পারছে না। ফলে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অর্ডার কমে যাচ্ছে। এই অবস্থা চললে ক্রেতারাও মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
একই বিষয়ে ইংরেজি দৈনিক নিউএজ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম-Energy sector crisis keeps growing.
খবরটিতে বলা হয়েছে যে, গত ৮ অগাস্ট ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট নিয়ে বেশ বেকায়দায় রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ২০২৫ সালে এই সংকট আরও তীব্রতর হতে পারে বলে প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে।
আর শীতের প্রভাব নিয়ে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম-Children take a hit from winter diseases. বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে যে, শীতের প্রভাবে বাংলাদেশে শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের হার বেড়েছে। ইতোমধ্যেই হাসপাতাল গুলোতে এসব রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে কেবল ঢাকার শিশু হাসপাতালেই জানুয়ারির প্রথম চার দিনে ভর্তি হয়েছে ১৩৯ শিশু। একইভাবে, জেলা হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালেও ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর ভর্তির হার বেড়েছে। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে-বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকারসহ নানা দাবিতে ১০১ আন্দোলন।
খবরের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর গত পাঁচ মাসে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো ব্যানারে বিক্ষোভ, অবরোধ ও আন্দোলন হতে দেখা গেছে। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী থেকে শুরু করে ছাত্রসংগঠন, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এমন অন্তত একশ' একটি বিক্ষোভ-আন্দোলন করছেন।
এক্ষেত্রে তাদের বেশিরভাগই নিজেদেরকে 'বঞ্চিত' বা 'বৈষম্যের শিকার' দাবি করে ওইসব বিক্ষোভ-অবরোধ করেছেন। আর তাদের বিক্ষোভ-অবরোধের কারণে যানজটে জনদুর্ভোগে পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
তবে এর বাইরেরও কেউ কেউ আবার ব্যানার ছাড়াই হুটহাট সড়কে নেমে বিক্ষোভ-অবরোধ করছেন। তাদের মধ্যে গত ২৬শে অগাস্ট সকালে হঠাৎ শাহবাগ এলাকার সড়ক অবরোধ করেন প্যাডেলচালিত শত শত রিকশাচালক। তাদের দাবি ছিল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ঢাকার সড়কে চলতে পারবে না।
এ ঘটনার আড়াই মাস পর গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টের এক নির্দেশনার বিরোধিতা করে ঢাকার রাজপথে আন্দোলনে নামেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা। তারা ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সড়ক অবরোধ করে শুরু করেন আন্দোলন। ওই আন্দোলনের মধ্যে ২১ নভেম্বর ঢাকার মহাখালীতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা
দৈনিক সরোবর/এএস