নগদ টাকার সঙ্কটে সমস্যাকবলিত ব্যাংকগুলো
প্রকাশিত: মার্চ ০৮, ২০২৫, ০৮:৩০ রাত

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, 'সমস্যাকবলিত ব্যাংকগুলো নগদ টাকার সঙ্কটে'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সমস্যাকবলিত ব্যাংকগুলো বর্তমানে নগদ টাকার সংকটে পড়েছে।
রমজান মাসে মানুষের কেনাকাটার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, ব্যাংকগুলোর কাছে টাকা তোলার চাপ বাড়ছে।
এতে ব্যাংকগুলো সমস্যায় পড়েছে এবং তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তারল্য সহায়তা চেয়েছে।
একসময় দেশের ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে, বিশেষ করে এস আলম নামক এক ব্যক্তি দেশের বৃহত্তম ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উধাও করেছে।
এসব ব্যাংক থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা বের হয়ে গেছে, যা এখনও ফেরত আসেনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ ব্যাংক ওই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন শুরু করেছে এবং কয়েকটি ব্যাংক এরমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
তবে কিছু ব্যাংক এখনও গভীর সমস্যায় রয়েছে এবং তারা গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।
বিশেষ করে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক কিছু ভালো অবস্থানে থাকলেও, রমজানে বাড়তি চাপের কারণে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থায় রয়েছে।
তাই, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে এসব ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সহায়তার জন্য আবেদন পেয়েছে এবং খুব শিগগিরই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম 'সীমান্তে কড়াকড়ির মধ্যেও থেমে নেই নারী পাচার'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নারীদের পাচার ঠেকাতে কড়াকড়ি থাকলেও, পাচারের ঘটনা থেমে নেই।
যশোরের শার্শা উপজেলার দৌলতপুরের এক নারী, যিনি দু'বছর আগে ভারতে পাচার হয়েছিলেন, জানালেন যে তাকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।
ভারতীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। এছাড়া, অনেক নারী ও কিশোরী সীমান্তে পাচারের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে তাদের ভারতে নিয়ে গিয়ে যৌনকাজে বাধ্য করা হচ্ছে।
গত কয়েক মাসে, বাংলাদেশ থেকে অন্তত ১৮৬ জন নারী ও শিশু পাচারের শিকার হয়ে উদ্ধার হয়েছেন। পাচারকারীরা সাধারণত দরিদ্র পরিবারের নারীদের লক্ষ্য করে।
যেমন এক কিশোরী নাচ শিখতে যাওয়ার প্রলোভনে ভারতে পাচার হয়েছিলেন, তবে বিজিবি তাদের উদ্ধার করে।
এছাড়া, বেশ কিছু নারী মধ্যপ্রাচ্যে কাজের নামে পাচার হয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পাচারের সংখ্যা যদিও সরকারিভাবে সঠিকভাবে রেকর্ড করা হয় না।
তবে আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৩ সালে ৪৫২ জন নারী পাচারের শিকার হয়েছেন।
পাচারকারীদের গ্রেপ্তার কম হলেও, অধিকারকর্মীরা নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, 'সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি আট পরিবারের ৩৬০০ কোটি টাকা'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। ২০২২ সালে ফাঁস হওয়া সুইস সিক্রেটস প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৮টি পরিবার সুইস ব্যাংকে প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা জমা রেখেছে।
এই পরিবারগুলোর সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রেখেছেন। তাদের মধ্যে সামদানি পরিবার, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, মিরালী গ্রুপের সদস্য এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী পরিবারের নাম রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি অর্থ জমা রেখেছে সামদানি পরিবার, যার মধ্যে গোল্ডেন হার্ভেস্ট গ্রুপের কর্ণধার রাজীব সামদানি এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব রয়েছে।
এছাড়া আজিজ মোহাম্মদ ভাই, মিরালী পরিবারের সদস্যরা এবং বেঙ্গল গ্লাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসামুদ্দিন সালেহর পরিবারও সুইস ব্যাংকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টাকা জমা রেখেছেন।
এই পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব রয়েছে এবং এসব হিসাবের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত আছে।
তবে এই টাকা অবৈধ উপার্জন বা অর্থপাচার থেকে এসেছে, এমন দাবি করা হয়নি। সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখা বৈধ, তবে বাংলাদেশে এর ফলে সমাজে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'বাড়ছে নারীর নিরাপত্তাহীনতা'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে নারীর নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বিভিন্ন সাম্প্রতিক ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে নারীরা নানা ধরনের শারীরিক ও যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
গত কয়েক মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা বেড়েছে, এবং ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন, ও হত্যার মতো ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পুলিশ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা।
এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে মব সহিংসতার কারণে, যেখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারীদের হেনস্তা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে, গণপরিবহন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে বিশেষত ধর্ষণ ও হেনস্তার ঘটনা আলোচিত।
নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে সমালোচনা চলছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়া এবং মোরাল পুলিশিংয়ের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশে নারীদের নিরাপত্তা ও তাদের অধিকার নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সরকারের উচিত এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
বিবিসি বাংলার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।
সমকালের প্রধান শিরোনাম, 'নির্বাচনী প্রশাসন সাজাতে এখনই সতর্ক সরকার'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার প্রশাসন সাজাতে সতর্কভাবে কাজ করছে।
নির্বাচনের জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে নিয়োগের একটি বিতর্কহীন তালিকা তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে এবং ডিসি, পুলিশ সুপার (এসপি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের ডিসি হিসেবে নিয়োগ করা হবে। গত ৮ সেপ্টেম্বর ডিসি নিয়োগের জন্য একটি তালিকা তৈরি হলেও এখন নতুন তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
এই প্রক্রিয়া ধীর গতিতে চললেও, সরকার নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কাজ করতে চাইছে।
ডিসি ও এসপি নিয়োগের জন্য ৫০৯ কর্মকর্তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং ২৫, ২৭ ও ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তারা প্রধানত প্রাধান্য পাবেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ডিসি ও এসপির দায়িত্ব পালনের জন্য সৎ ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নির্বাচন করা হবে।
নির্বাচন কমিশন এবার প্রথমবারের মতো নিজেদের কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে, কারণ তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবেন।
দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'তৃণমূল শক্ত না হলে জোট'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে দল গুছিয়ে জনসমর্থন বাড়াতে চায়।
দলটি প্রথমে গণপরিষদ নির্বাচনে গুরুত্ব দিতে চায় এবং এককভাবে অথবা জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ভাবছে।
এনসিপির নেতারা মনে করছেন, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে, তবে তৃণমূল শক্তি গঠন না হলে তারা বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট করতে পারে।
যদিও জামায়াতের সঙ্গে জোট করার বিষয়ে বেশিরভাগ নেতার আগ্রহ নেই। দলটি এখন তৃণমূল কমিটি গঠন ও জনগণের মধ্যে সমর্থন অর্জনে মনোযোগী।
ইতিমধ্যে কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, যেমন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইফতার মাহফিল।
দলের নেতারা স্থানীয় পর্যায়ে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে কাজ করছেন এবং আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন সম্পর্কিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাদের গঠনমূলক তৃণমূল শক্তির ওপর নির্ভর করবে।
দলটি এখন নিবন্ধনের প্রক্রিয়া ও সংগঠনের বিস্তার নিয়ে কাজ করছে এবং ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, 'পুরনো আমলের মতোই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনায়, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডহক বা দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগের জন্য ইউজিসি অনুমোদন প্রয়োজন।
তবে সম্প্রতি পটুয়াখালী, বরিশাল, গোপালগঞ্জ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
যেমন, পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ জানুয়ারি বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, কিন্তু রিজেন্ট বোর্ড বা ইউজিসির অনুমোদন নেয়া হয়নি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬শে ফেব্রুয়ারি সাকিব হোসেনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়, কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনুসরণ হয়নি।
এছাড়া, গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নিয়োগের পর শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে উপাচার্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নিয়োগে সাবেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার আগেই চাকরি দেয়া হয়েছে।
এসব নিয়োগের পেছনে রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী সম্পর্কের অভিযোগও উঠেছে।
ইউজিসি এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার ওপর জোর দিয়েছে।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, 'Govt eyes quick completion' অর্থাৎ 'দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে সরকার'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, এবং এটি সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় (এডিপি) একক প্রকল্প হিসেবে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে।
রূপপুর প্রকল্পের জন্য ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে নয় হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য।
রাশিয়া এই প্রকল্পের বেশিরভাগ অর্থায়ন করছে এবং ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পটির মোট খরচ এক লাখ ১৪ হাজার ২২৫ কোটি টাকা।
২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রূপপুর প্রকল্প সম্পন্ন করার পরিকল্পনা থাকলেও কিছু বিলম্বের কারণে তা ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে সম্পন্ন হতে পারে।
রূপপুর প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত পাঁচটি প্রকল্পের জন্য দুই হাজার ৪২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে, যা পূর্ববর্তী বরাদ্দের চেয়ে কিছুটা বেশি।
এছাড়া, মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে, যা ছয় হাজার ১০৫ কোটি থেকে সাত হাজার ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
এই প্রকল্পের প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়েছে এবং দ্বিতীয় ইউনিট পরীক্ষা চালাচ্ছে।
এডিপির মধ্যে অন্যান্য বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেল (এমআরটি) এবং চীনা অর্থায়নে কিছু প্রকল্প।
ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, 'Deep fake: Trapped in a Digital Nightmare' অর্থাৎ, 'ডিপ ফেক: ডিজিটাল দুঃস্বপ্নের ফাঁদে আটকা'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৩ সালে, সামিয়া (ছদ্মনাম) ঢাকার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
একদিন, তার ফেসবুক ইনবক্সে একটি এডিট করা ছবি আসে, যেখানে তাকে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে দেখানো হয়েছিল।
এই ধরনের ছবি, যাকে 'গলাকাটা ছবি' বা 'ডিপ ফেক' বলা হয়, মূলত সাইবার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হতো।
ডিপ ফেক হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে কাউকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়, যাতে তাদের চেহারা বা শরীর পরিবর্তিত হয়ে যায়।
সামিয়া এই ছবি পেয়ে তিন বছরের জন্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সে পরিবারকে কিছু জানাতে সাহস পায়নি এবং কেবল তার কাছে শোক প্রকাশ করেছিল।
এমন সাইবার বুলিংয়ের কারণে মেয়েরা সামাজিক হয়রানির শিকার হয়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, সাইবার বুলিংয়ের শিকারদের উচিত সবার সামনে তা নিয়ে কথা বলা এবং আইনি পদক্ষেপ নেয়া।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন ঘটনা শিকারীদের মধ্যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং কখনও কখনও আত্মহত্যার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া, মালিহা তাবাসসুম যিনি একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, মনে করেন যে ডিজিটাল শিক্ষার অভাব বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাইবার স্পেসে নিরাপদ থাকার জন্য সামাজিক এবং মানসিক শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা
দৈনিক সরোবর/এএস