কর নিয়ে নানা সিদ্ধান্তে মন্দার মুখে মার্কিন অর্থনীতি!
প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৫, ০৭:৪৯ বিকাল

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মার্কিন বাণিজ্য নীতির ‘খোলনলচে’ বদলে দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একের পর এক দেশের বিরুদ্ধে শুল্ক চাপাচ্ছেন। কে বন্ধু, কে শত্রু, তা বিচার করছেন না। এ ভাবে আমেরিকার হৃত সম্পদ পুনরুদ্ধার করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে পারে দেশের অর্থনীতিতে। মার্কিন বাজারের পরিস্থিতি দেখে অনেকেই সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে আশংকা করা হচ্ছে আমেরিকার অর্থনীতি মন্দার মুখোমুখি হতে পারে। সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজ়কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর বক্তব্য, আমেরিকার অর্থনীতি একটি পরিবর্তনের পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছে। যেখানে আগে থেকে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না।
গত বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজ়কে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। রবিবার তা প্রকাশিত হয়েছে। ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে কি না, মন্দার সম্ভাবনা আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রেসিডেন্ট বলেন, এই ধরনের কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে আমি পছন্দ করি না। আমরা যেটা করছি, সেটা খুব বড় একটা কাজ। ফলে এখন একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে আমরা চলেছি। আমরা আমেরিকার সম্পদ পুনরুদ্ধার করছি। সেটা একটা খুব বড় কাজ।
এই লক্ষ্যে পৌঁছোতে যে কিছুটা সময় লাগবে, তা-ও মেনে নিয়েছেন ট্রাম্প।
প্রতিবেশী কানাডা এবং মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। অভিযোগ ছিল, এই দুই দেশের সীমান্ত নিয়ে বহু মানুষ অবৈধ ভাবে আমেরিকায় অনুপ্রবেশ করেন। দেশের সরকার তা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে না। তবে ঘোষণার কিছু দিনের মধ্যে কানাডা এবং মেক্সিকোর পণ্যে শুল্ক আবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আপাতত ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে চিনের পণ্যেও বাড়তি শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। প্রথমে ১০ শতাংশ শুল্কের কথা বললেও পরে তা দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। পাল্টা চিনও আমেরিকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছে।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, যে সমস্ত দেশ আমেরিকার পণ্যে চড়া হারে শুল্ক নেয়, তাদের বিরুদ্ধেও একই ভাবে শুল্ক চাপানো হবে।
চিন ইতিমধ্যে আমেরিকার বিরুদ্ধে শুল্কের কথা জানিয়ে দিয়েছে। হুঁশিয়ারি দিয়েছে কানাডাও। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকায় বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছে। শেয়ার বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে। অনিশ্চয়তায় ভুগছেন মার্কিন ব্যবসায়ীরা।
আমেরিকা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। তা মন্দার মুখোমুখি হলে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে মন্দার সম্ভাবনা সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পের বাণিজ্য সচিব হোয়ার্ড লুটনিক।
পৃথক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমেরিকায় আমেরিকান পণ্যের দাম কমবে। মন্দার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তবে বিদেশি পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। সূত্র: ফক্স নিউজ
দৈনিক সরোবর/এএস