পাকিস্তানের সেনানিবাসে হামলার ঘটনায় পাঁচ সেনা সদস্যসহ নিহত ৩৪
প্রকাশিত: মার্চ ০৬, ২০২৫, ০৭:৩৫ বিকাল

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বান্নু সেনানিবাসে হামলার ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ সেনা সদস্য ও ১৬ হামলাকারী রয়েছেন বলে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ইফতারের পরে সামরিক স্থাপনাটির একপাশের দেয়ালে দু’টি বিস্ফোরক ভর্তি গাড়িযোগে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা দেয়াল উড়িয়ে দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিল।
এতে অন্তত নয়জন বেসামরিক নিহত হন। বুধবার পর্যন্ত নিহত বেসামরিকের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়ায়।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এক বিৃবতিতে জানিয়েছে, গাড়ি বোমা হামলার পর হামলাকারীদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বন্দুক লড়াইয়ে ১৬ হামলাকারী নিহত হন। তাদের মধ্যে চারজন আত্মঘাতী হামলাকারী। মঙ্গলবার রাতেই ছয়জনকে গুলি করে মারা হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হামলাকারীদের সঙ্গে তীব্র বন্দুক লড়াই চলাকালে দায়িত্বরত পাঁচ সেনা নিহত হন।
একাধিক বিস্ফোরণে সেনানিবাসের একপাশের দেয়ালের একটি অংশ ধসে পড়ে। এতে সংলগ্ন অবকাঠামোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আইএসপিআর বলেছে, দুঃখজনকভাবে নিকটবর্তী একটি মসজিদ ও একটি বেসামরিক আবাসিক ভবন ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে। এতে ১৩ জন নিরপরাধ বেসামরিকের প্রাণহানি ও আরও ৩২ জন আহত হয়েছেন।
হামলাকারীদের মধ্যে ‘আফগান নাগরিকও’ ছিলেন বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা। আফগানিস্তান থেকে পরিচালিত একটি জঙ্গি গোষ্ঠী হামলাটির ‘পরিকল্পনা ও পরিচালনা’ করেছে, স্বাক্ষ্য প্রমাণ থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।
এসব ঘটনায় আফগানিস্তানের ‘অন্তর্বর্তী’ সরকারকে দায় স্বীকার করে পাকিস্তানে হামলা চালাতে তাদের মাটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করার সুযোগ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। অন্যথায় পাকিস্তান ‘সীমান্তের অপর পাশ থেকে আসা এসব হুমকি মোকাবেলায়’ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে বলে সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে সতর্ক করা হয়েছে।
উদ্ধারকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বুধবার ভোররাতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি বাড়ি ও মসজিদটির ধ্বংসস্তুপ থেকে ৪১ জনকে অক্ষত অবস্থায়, ১১টি মৃতদেহ ও আরও ৩০ জন আহতকে উদ্ধার করেছেন। বেসামরিক নিহতদের মধ্যে ছয় শিশু, নারী ও বৃদ্ধ মানুষ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা। সূত্র: আইএসপিআর
দৈনিক সরোবর/ইএইচপি