মার্কিন জিম্মিদের মুক্তি না দিলে হামাস ধ্বংস হবে: ট্রাম্প
প্রকাশিত: মার্চ ০৬, ২০২৫, ১২:৪২ দুপুর

ফাইল ফটো
দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক প্রথা ভেঙে হামাসের সঙ্গে গোপন আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় আটক মার্কিন জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে এই আলোচনা শুরু হয়েছে বলে কয়েকজন কর্মকর্তা গতকাল বুধবার দাবি করেছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন জিম্মি বিষয়ক দূত অ্যাডাম বোয়েলার হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করার অনুমতি পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, হামাসকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করে রেখে ওয়াশিংটন এবং তারা সাধারণত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করে না।
দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দোহায় হামাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বোয়েলারের বৈঠক হয়েছে। তবে সেখানে হামাসের পক্ষে কে উপস্থিত ছিলেন, তা স্পষ্ট নয়।
হোয়াইট হাউসে সম্প্রতি কয়েকজন মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ট্রাম্প। এরপরই হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প বলেছেন, অবিলম্বে সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষও ফিরিয়ে দিতে হবে। নইলে হামাসের শেষ দেখে ছাড়া হবে! তিনি লেখেন, আমি ইসরায়েলকে যা দরকার সব পাঠাচ্ছি এই অভিযান শেষ করার জন্য। যদি হামাস আমার কথায় না চলে, তাহলে তাদের একজনও নিরাপদ থাকবে না। গাজার জনগণের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, তবে তা তখনই সম্ভব যখন জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। যদি তা না হয়, তবে হামাস ধ্বংস হবে। এখনই বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদের। জিম্মিদের মুক্তি না দিলে পরিণতি ভয়াবহ হবে।
হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের আগেও হামাসকে ‘ভয়াবহ পরিণতির’ হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই ধারাবাহিকতাতেই জানুয়ারির মাঝামাঝি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তি হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, এটি তার কূটনৈতিক সাফল্য। সর্বশেষ হুমকির বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করেননি, হামাস তার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক সরোবর/কেএমএএ