ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচন
সব ধরনের নির্বাচনেই ইসির সুনাম ধরে রাখতে হবে
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৪, ০৭:৩০ বিকাল

ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন গত ৯ মার্চ অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুটি সিটির নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ ওঠেনি। দুই সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠিত হলো ময়মনসিংহ ও কুমিল্লার সিটির নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও নির্বাচনে ভোটের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। নারী ভোটারের উপস্থিতি কেন্দ্রে উপচে পড়ে। দুই সিটি নির্বাচনে কুমিল্লা সিটিতে ভোটাররা নারী মেয়র সূচনাকে বিজয়ী করেছেন। স্মরণ করা যেতে পারে যে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৫ সিটির নির্বাচন সবার কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পায়। ৫ সিটির মধ্যে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটিতে নারী মেয়র বিজয়ী হয়েছেন। এবার কুমিল্লায় নগরকন্যা পাওয়ায় দেশে ৩ নারী মেয়র পাওয়া গেল।
ক্রমেই দেশের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ রাজনীতির জন্য ইতিবাচক একটি দিক। রাজনীতি নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে বলে যে অভিযোগ অনেকে করে আসতেন, এর পরিবর্তন আমরা দেখছি। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের নারীর ক্ষমতায়নে যে ব্যাপক ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন, এতে সমাজে নারীরা মূল্যায়িত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সমাজে পুরুষদের একচাটিয়া ক্ষমতা দেখানোর আর সুযোগ নেই। নারীকে বাদ দিয়ে শুধু সমাজের উন্নতি সম্ভব নয়, এ বিষয় বিশেষভাবে উপলদ্ধি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই তিনি তার দল আওয়ামী লীগে নারীদের রাজনীতিতে অনেক সুযোগ করে দিয়েছেন। এই দৃষ্টান্ত দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও অনুসরণ করা উচিত।
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই তা ফের প্রমাণ মিলল ময়মনসিংহ ও কুমিল্লাহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে। ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার মধ্য দিয়ে যেসব রাজনৈতিক দল ভোট সুষ্ঠু হবে না বলে নির্বাচন বর্জন করে, তাদের কথা আর মানুষ নেবে না। ভোট যেখানে সুষ্ঠু হচ্ছে, যেসানে মিথ্যা অজুহাত দাঁড় করিয়ে ভোট বর্জন ঠিক নয়; বরং নির্বাচন হলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকাশে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পন্থা। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে ভোট হতে হবে সুষ্ঠু ও অবাধ। এতে অংশগ্রহণ করে নিশ্চিত করার দায়িত্বও সবার। তাই আমরা বলতে চাই, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটির নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধাপে ধাপে সুনাম অর্জন করছে। কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা না ঘটায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এটি সব ধরনের নির্বাচনেই ধরে রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে যথেষ্ট শক্তিশালী, এর প্রমাণ পাওয়া গেল আবারও।