অসাধু ফল ব্যবসায়ীদের শাস্তি দিন
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩, ০৯:০৫ রাত

এবার স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ডেঙ্গু। এখন পর্যন্ত এ রোগে প্রাণহানির সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে হাসপাতালগুলো। এই সুযোগে হাসপাতালের গেট ও আশপাশের ফুটপাতে মানুষের পকেট কাটছেন ডাবসহ বিভিন্ন ফল বিক্রেতারা। তারা দ্বিগুণেরও বেশি দাম নিচ্ছেন। এতে গরিব ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের রোগীরা খুবই অসহায় বোধ করছেন।
হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাতে চড়া দামে বিক্রি হয় ডাব, কমলা, আপেল ও মাল্টাসহ নানা রকম ফল। প্রতিটি ডাবের দাম রাখা হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ডাব ৮০ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়! শুধু ডাব নয়, প্রতিটি ফলের দামেই যেন আগুন জ্বলছে। আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। অথচ অসাধু ফল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বাজার তদারকি সংস্থাগুলোর জোরালো অভিযান দেখা যায় না। এ কারণেই ফল বিক্রেতারা যখন-তখন এ অপতৎপরতায় লিপ্ত হন।
অন্যদিকে নির্ধারিত দামের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি করছে হাসপাতালের আশপাশের ফার্মেসিগুলো। এতে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র রোগী ও তাদের স্বজনরা। তাদের স্যালাইনের সংকট রয়েছে। কিছু ফার্মেসিতে ৯০ টাকার স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ডেঙ্গুর প্রকোপকে পুঁজি করে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে ডাবসহ দেশি-বিদেশি সিন্ডিকেট। বিশেষ করে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেশি বেপরোয়া হয়েছে উঠেছে সিন্ডিকেটটি। ২৬০ টাকা কেজিতে মাল্টা, কমলা ২৫০ টাকা, আপেল ২৮০ টাকা, আঙুর ৪০০ টাকা ও বেদানা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
ডেঙ্গু রোগীসহ স্বজনরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবেন- এটি চলতে পারে না। অসাধু ব্যবসায়ীদের এখনই থামাতে হরে। তাদের আর কোনোভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে যাবে। তাদের থামাতে সরকারকে জরুরি উদ্যোগ নিয়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অসাধু ফল ব্যবসায়ীদের এমন শাস্তি দিন- যাতে তারা আর কখনোই কোনো রোগী তথা ক্রেতাদের জিম্মি করতে না পারে।