ঢাকা, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

‘জনগণ হত্যাকান্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করে’

সরোবর প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৪, ০৫:০৬ বিকাল  

কোটা সংস্কার সহিংসতায় জনগণ পুরো ঘটনা ও হত্যাকান্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার দলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের আপামর শিক্ষার্থীদের যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদেরকে এখনও নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং এবং বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু’র ছেলে (যিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন) সানিয়াত-কে গ্রেফতার করেছে এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে গতরাত ১টায় বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অব্যাহতভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে আড়াল করতে এবং উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপকৌশল হিসেবে বিএনপি’র নির্দোষ নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার কিংবা নেতাকর্মীদেরকে বাসায় না পেয়ে তাদের সন্তান কিংবা বাসার সদস্যদের গ্রেপ্তার ও অশালীন আচরণসহ বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করা হচ্ছে। আন্দোলনে ভূমিকা রাখার মিথ্যা অভিযোগে ঢালাওভাবে বিএনপি ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য দোষারোপ করছে। যদি তাই হয়, তাহলে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন? এটাই জনগণের প্রশ্ন। এতে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি কিংবা বিরোধীদলের কেউই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়।

তিনি আরো বলেন, শত শত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হতাহত করলো অথচ সরকারের ইশারায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি শুধুমাত্র ছয় জনের হত্যাকান্ডের তদন্ত করবে, যা সুকৌশলে পুরো হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দেওয়ারই নামান্তর। তাই জনগণ পুরো ঘটনা ও হত্যাকান্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করে। নইলে ব্যর্থতার সকল দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ বলে জনগণ মনে করে।

আন্দোলনের সময় হামলায় নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২ লক্ষ নগদ টাকা ৮ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র করে প্রদান করা হয়েছে, অথচ শত শত নিরীহ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে পাখির মতো গুলি করে গণহত্যা করা হলো যা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছ। যারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

দৈনিক সরোবর/এএস