মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ইইউ
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫, ০৭:৪৮ বিকাল

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ঘোষণা দিয়েছে, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে 'কঠোর ও সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা’ নেবে। ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লেইন মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন।
তবে তার এই সিদ্ধান্ত বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা আরো বাড়িয়ে তুলেছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার রাতে এক ঘোষণার মাধ্যমে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি সমস্ত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বাড়াচ্ছেন। হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই শুল্ক আগামী ৪ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। ২০১৮ সালে ট্রাম্পের আরোপিত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শুল্ক বাইডেন প্রশাসন স্থগিত করলেও, সেগুলোর পরিবর্তে কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়।
ভন ডার লেইন এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি মার্কিন সিদ্ধান্তে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে, শুল্ক মানেই কর, যা ব্যবসার জন্য খারাপ এবং ভোক্তাদের জন্য আরো ক্ষতিকর। গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে ইইউ’র স্টিল রপ্তানি গড়ে প্রায় ৩.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
তিনি বলেন, ইইউ-এর বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে আরোপিত শুল্ক কোনোভাবেই উপেক্ষিত হবে না। এর বিরুদ্ধে কঠোর ও যথাযথ প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইইউ তার স্বার্থ রক্ষায় এ ব্যবস্থা নেবে।
তবে ইইউ কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাবে, সে সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে ২০১৮ সালে ইইউ যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছিল, তা পুনরায় কার্যকর করা। অবশ্য পরবর্তীতে ভন ডার লেইন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে হওয়া সমঝোতার ফলে স্থগিত করা হয়েছিল।
বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হুইস্কি, মোটর সাইকেল এবং কমলার রসসহ বিভিন্ন মার্কিন পণ্যের ওপর যে শুল্ক স্থগিত রেখেছে, তা আগামী মার্চের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ইইউ’র বাণিজ্য প্রধান মারোস শেফচোভিচ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এক বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘দুই পক্ষের জন্যই ক্ষতিকর পরিস্থিতি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ইউরোপীয় কমিশন এখন মার্কিন শুল্কের পরিধি মূল্যায়ন করছে এবং ইইউ যথাযথ প্রতিক্রিয়া নির্ধারণের কাজ করছে।
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক আঘাতের ফলে সোনার বাজারে ব্যাপক উত্থান ঘটেছে। নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা হিসেবে মঙ্গলবার স্বর্ণের দাম বেড়ে সর্বোচ্চ ২,৯৪২.৭০ ডলার স্পর্শ করেছে। ইউরোপীয় কমিশন বুধবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৭টি ইইউ সদস্য দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের মতামত শুনবে এবং প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করবে। সূত্র: রয়টার্স
দৈনিক সরোবর/এএস