একই সঙ্গে ভুট্টা ও আলু চাষে বাম্পার ফলন
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ০৮:১৯ রাত

লালমনিরহাটের তিন উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ভুট্টা চাষাবাদ হয়। এতে বেশি মুনাফা অর্জন করেন কৃষক। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে কৃষকেরা একই জমিতে ভুট্টা ও আলু চাষ করেন। একই জমিতে দুই ফসল হওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। ফলে রবি মৌসুমে একই জমিতে একসঙ্গে ভুট্টা ও আলু চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, আলুর চারা বড় হলে একই ক্ষেতের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় ভুট্টার বীজ বপন করেন। একই সেচ, সার ও কীটনাশকে পরিপক্ব হয়ে ওঠে আলু ও ভুট্টা। এরই মধ্যে আলু ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করে বাজারজাত শুরু করেছেন। আলু উঠে গেলে একক ফসল হিসেবে বড় হবে ভুট্টা গাছ। আলুর বীজ বপনে ৪০ দিনের মধ্যে পরিপক্ব হয়। অপরদিকে ভুট্টা উঠতে সময় লাগে প্রায় ৬ মাস।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর লালমনিরহাট জেলায় ৩৩ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ১৫০ হেক্টর বেড়েছে। রবি মৌসুমে এ বছর আলুর চাষাবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৮০৬ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় ১৩০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ বেড়েছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, একই জমিতে দুই ফসল চাষাবাদে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কৃষক আজিবর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ ছাড়াই প্রতি বছর ৫-৬ শতাংশ জমিতে একই সঙ্গে ভুট্টা ও আলু আবাদ করি। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আলুর ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি প্রতি বিঘায় ভুট্টা ৩০-৩৫ মণ পাওয়ার আশা আছে।
ভুট্টা চাষি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ বছর আলুর দাম খুবই কম। আলুর দাম কম হলেও ফলন ভালো হয়েছে। এ বছরও আমরাএকই জমিতে আলু আর ভুট্টা চাষ করেছি।
হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলায় বেশিরভাগ জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ হয়েছে। পাশাপাশি একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে আলু চাষাবাদ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। এক জমিতে দুই ফসল বা তিন ফসল করার জন্য কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক সরোবর/এএস