ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও হারল বাংলাদেশ
প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৩, ০৬:২৭ বিকাল

ছবি: ইন্টারনেট
১৪৫ রানের বেশি টার্গেট তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। আজও পারল না নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মেয়েদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জয়ের পর নির্বিষ বোলিং আর ব্যাটিং ব্যর্থতায় পরের দুই ম্যাচ হেরে এগিয়ে থেকেও সিরিজ খোয়াল জ্যোতিরা।
শুক্রবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ১১৪ রান। আর তাতে লঙ্কান মেয়েরা ম্যাচটি জিতে যায় ৪৪ রানের বড় ব্যবধানে।
বড় টার্গেট তাড়ায় যেভাবে শুরু করার প্রয়োজন ছিল তাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩ রান তুলতেই প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। ‘গোল্ডেন ডাক’ হয়ে সাজঘরে ফেরেন রুবাইয়া হায়দার। এরপর মন্থর ব্যাটিং আর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় টাইগ্রেসরা।
বাংলাদেশের হয়ে এদিনও সর্বোচ্চ ইনিংস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির (৩১)। এছাড়া সুবহানা মুস্তারি করেন ২৫ বলে ৩০ রান। বাকিরা কেউই দুই অঙ্ক টপকাতে পারেননি।
এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। ১১ ওভারে লঙ্কানদের রান ছিল ৩ উইকেটে ৬৩। দ্রুত উইকেট নেওয়া এবং রানের লাগাম টেনে রাখা, দুটোই ততক্ষণ পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই করছিল জ্যোতিরা। তবে হুট করেই ঘুরে যায় খেলার মোড়। বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হতে শুরু করেন লঙ্কান মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার নিকাশী ডি সিলভা এবং হারসিথা সামারাবিক্রমা। তাতে রানটা চলে যায় বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণের খানিকটা বাইরে।
এদিন সবচেয়ে খরুচে ছিলেন অভিজ্ঞ পেসার জাহানারা আলম। ষোড়শ ওভারে ফাহিমা খাতুনের বলে মিড অফে এতটা সহজ এক ক্যাচ ছাড়েন তিনি, চাইলেও যেটি ছাড়া কঠিন। তখন ১৮ রানে জীবন পাওয়া নিলাকশি ডি সিলভা পরে জাহানারার ওপর দিয়েই শেষ ওভারে চালান তাণ্ডব। তিন ছক্কা ও এক চারে ওই ওভার থেকে আসে ২৪ রান। মূলত ওই ওভারেই রানটা বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। ১৯ ওভারে ১৩৪ থেকে ২০ ওভারে ১৫৮ রান করে শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কানদের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন নিকাশী। ৩৯ বলের ইনিংসে সমান চারটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৪২ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন হার্সিথা।
এর আগে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল। বল মাঠে গড়ানো একমাত্র ম্যাচটিতে হেরে যায় বাংলাদেশ। এবার টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থতায় শেষ হলো সফর।