ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক: মির্জা ফখরুল
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৪, ০২:৪৪ দুপুর
![](https://dainikshorobor.com/public/images/mirja fakrul_20220612174117_original_18.webp)
আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। এই’ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস’উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি মনে করি, আজও ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৬ মে ‘ফারাক্কা দিবস’ আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ থেকে ৪৭ বছর আগে অবিসাংবাদিত মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারা দেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল লংমার্চে অংশ নেয়।
এতে বলা হয়, ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর- পশ্চিমাঞ্চল আজ প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ওই এলাকায় পানিতে আর্সেনিকসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়।
ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে আজও পর্যন্ত চালু আছে। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার এই অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে নির্লজ্জভাবে তা মেনে নিয়েছে, ফলে বাংলাদেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে একতরফা নিজেদের অনুকূলে পানি প্রত্যাহার বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সারা বাংলাদেশ একসময়ে নিষ্ফলা ভূমি হয়ে উঠবে বলে দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই অভিমত প্রকাশ করেছেন।’
সুতরাং, ১৬ মে ১৯৭৬, মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল ন্যায্য পাওনা আদায়ের সংগ্রামে জনগণ অকুতোভয় সাহসী পদক্ষেপে এগিয়ে গিয়েছিল।
দৈনিক সরোবর/এসএস