ঢাকা, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

‘বাড়ে ১০ কমে ১ টাকা’

সরোবর প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৪, ১২:৪৫ দুপুর  

কোটা আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। তবে সরবরাহ বাড়ায় আস্তে আস্তে তা কাটতে শুরু করেছে। যদিও জিনিসপত্রের দাম নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ। 

তারা বলছেন, কোনো পণ্যের দাম বাড়লে আর কমে না। সংকটের কারণে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছিল তা কমেছে সামান্যই। ১০ টাকা বাড়লে কমে এক টাকা। এতে জনসাধারণের খুব একটা উপকার হয় না।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে টাউন হল কাঁচাবাজারে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।

এই বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভাই এটা বাংলাদেশ। এ দেশে জিনিসের দাম ১০ টাকা বাড়লে কমে এক টাকা। এক সময় এই মার্কেটে বড় রুই মাছ বিক্রি করতাম ১০০ টাকা কেজি। অথচ সেই মাছের কেজি এখন তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা।’

এজন মাছ ক্রেতা বলেন, ‘ভাই, বাজেট কম, তাই ছোট মাছ কিনলাম।’

কাঁচা তরকারি কিনবেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভাই, পকেট শূন্য। মাছটাই আজকে কোনোমতে কিনলাম। বাসায় সবজি আছে, তবে পরিমাণে কম। টাকা না থাকায় নতুন করে সবজি কেনার চিন্তা বাদ দিয়েছি।’

চড়া গরুর মাংসের দামও। দোকানে গিয়ে দাম জানতে চাইলে বিক্রেতা বলেন, ‘৮০০ টাকা কেজি। কম নাই।’ পাশাপাশি দুটি দোকানে একই দাম।

কমেনি মুরগির দামও। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা দরে। তবে দাম কমেছে ব্রয়লারের। প্রতি কেজি ১৯৫ টাকা। যা গত সপ্তাহের ছিল ২০০ টাকা কেজি।

আলুর দাম অনেক চড়া। হল্যান্ডার আলু ৬০ টাকা কেজি। পেঁপে ৪০, পটল ৪০, জালি কুমড়া বড় সাইজের প্রত্যেকটা ৫০ টাকা করে। মাঝারি সাইজের লাউ ৫০ টাকা।

শাকের দামও বাড়তি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি। যা কয়েক দিন আগেও ছিল ১০ টাকা করে।

ওই বাজারের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘ভাই আর কইয়েন না। এটা বাংলাদেশ, দেখার কেউ নেই। জিনিসের দাম বাড়ে, কিন্তু চাকরির বেতন বাড়ে না। বাজারে এসে বাজেট শেষ হয়ে যায়, কিন্তু ব্যাগ ভরে না। এ কথা কারে বলব।