বিয়ে তালাক ও বিচ্ছেদ সবই বেশি গ্রামে
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৯:০৩ রাত

প্রথম আলোর শিরোনাম'শহরের চেয়ে গ্রামে তালাক বেশি'। এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে শহরের চেয়ে গ্রাম এলাকায় বিয়ে বেশি হচ্ছে। তালাক ও দাম্পত্য বিচ্ছেদও গ্রাম এলাকায় বেশি। প্রতি ১০ হাজারে গ্রামে ১১টি এবং শহরে ৯টি তালাকের ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে গ্রামে বিয়ের হার প্রতি ১০ হাজারে ১৬৮টি আর শহরে ১২০টি। তবে সার্বিকভাবে দেশে বিয়ের হার অনেকটা কমেছে। আর বিয়ের গড় বয়স কিছুটা বেড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত রোববার বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে বৈবাহিক অবস্থা, বিয়ের বয়স, তালাক ও বিচ্ছেদের বিষয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি তৈরির জন্য বিবিএস ৩ লাখ ৮ হাজার ৩২টি পরিবারের ওপরে জরিপ পরিচালনা করে।
'ফুলের আসর থেকে নাচ-গান বিতর্কে ভিসিরা'
'ফুলের আসর থেকে নাচ-গান বিতর্কে ভিসিরা'-মানবজমিনের শিরোনাম এটি। এই খবরে বলা হচ্ছে, একটি বিশাল কক্ষে বসে আছেন একজন। তার চারদিকে ফুলের তোড়া। একজন ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) যোগ দেবেন বলে কতো আয়োজন। রমজান মাসে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নেচে-গেয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে। ফুলের আসর থেকে নাচ-গান। স্বজনপ্রীতির সঙ্গে নিয়োগ বাণিজ্য। শেষ কর্ম দিবসে নিয়োগ, ক্যাম্পাসে উপস্থিত না থাকাসহ নানা বিষয়ে সমালোচনা লেগেই আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের নিয়ে। প্রায়শই ভিসিদের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা করেন আন্দোলন। সমালোচনাকে সঙ্গে নিয়েই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আবার অভিযুক্ত হওয়ার পরও ভিসিদের বিরুদ্ধে নেয়া হয় না শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
'ঈদযাত্রায় ভোগান্তির ভয় মহাসড়কে'-সমকালের শিরোনাম এটি। এই খবরটিতে বলা হচ্ছে, সাতটি ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত কোনো মোড়ে আর গাড়ি থামানোর দরকার হওয়ার কথা না। এই পথে না আটকে যানবাহন চলার কথা। কিন্তু বিশৃঙ্খলার কারণে ফ্লাইওভার ওভারপাসে ওঠা এবং নামার পথে গাড়ি আটকে যাচ্ছে। চলাচল নিষিদ্ধ হলেও ওভারপাস থেকে নামার পথ আটকে থাকে, ইজিবাইক, বারোয়ারি যানবাহনে। পথে পথে বসে বাজার। তাই উড়াল পথ চালু হলেও মাত্র ১৬ কিলোমিটার যেতে গত বৃহস্পতিবার সময় লাগল ঘণ্টা খানেক।শুধু ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এ অংশ নয়, দেশের অন্যান্য মহাসড়কে উন্নয়নের সুফলও মিলছে না বিশৃঙ্খলায়। মহাসড়ক আগের তুলনায় ভালো থাকলেও এবারের শঙ্কা রয়েছে। সরকারি ছুটিতে পরিবর্তন ভোগান্তির শঙ্কা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে । ভয় রয়েছে সেতু, সড়ক এবং টোল প্লাজা নিয়ে। টোল আদায়ের গতি ধীর হলে দীর্ঘ যানজটের শঙ্কা রয়েছে। '৫ দিনে বাড়ি ফিরবে ৫ কোটি মানুষ'-কালেরকণ্ঠের শিরোনাম। এই খবরে বলা হচ্ছে পরিবারের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে এবার ঢাকা ছাড়বে প্রায় এক কোটি মানুষ। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের জেলা থেকে আরও অন্তত ৬০ লাখ মানুষ বাড়ি ফিরবে। অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে কর্মজীবী ও শিক্ষার্থী রয়েছে অন্তত ২০ লাখ। তারাও ঈদে নিজ নিজ এলাকায় ফিরবে।
এর বাইরে এক জেলা থেকে অন্য জেলায়, এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বা গ্রামে ঈদ করতে যাবে বহু মানুষ। সব মিলিয়ে ঈদ উপলক্ষে আগামী ৫ থেকে ৯ এপ্রিল-পাঁচ দিনে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ বাড়ি ফিরবে। সব মিলিয়ে ঈদের সময় সারা দেশে বাড়তি ৬০ কোটি ট্রিপ তৈরি হবে, যার বেশির ভাগের চাপ সামলাতে হবে গণপরিবহনকে।
‘বিষয় আছে, আর কিছু নেই’- দৈনিক আজকের পত্রিকার শিরোনাম। এই খবরে বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বাধ্যতামূলক করা হলেও এটি শিক্ষা দেয়ার জন্য উপকরণের ঘাটতি রয়েছে। প্রশিক্ষিত শিক্ষক, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাবের অভাবে বিষয়টির শিক্ষা চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। হাতে কমলের শিক্ষার বিষয়টি শিক্ষার্থীরা উতরে যাচ্ছে মুখস্তের জোরে। এমনকি সরকারি অনেক কলেজেই আইসিটি শিক্ষক নেই।
যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম 'পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত: বাস্তবায়ন হয়নি এক যুগেও'। খবরটিতে বলা হচ্ছে, একযুগ পার হলেও বাস্তবায়ন হয়নি পুরান ঢাকা থেকে সব কেমিক্যাল গুদাম স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও ২ হাজার কেমিক্যাল গুদামের বিপরীতে শ্যামপুরে অস্থায়ীভাবে মাত্র ৫৪টি প্রস্তুত হয়েছে। সেখানে এখনো পর্যন্ত যায়নি একজনও ব্যবসায়ী। পাশাপাশি টঙ্গীতে আরও ৫৩টি অস্থায়ী কেমিক্যাল গুদাম তৈরির কাজ চলমান। এছাড়া মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে স্থায়ীভাবে ৩০০ একর জায়গায় কেমিক্যালপল্লি তৈরির কাজ চলছে 'কচ্ছপগতি'তে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর কার্যকর তৎপরতা না থাকার কারণেই মূলত কেমিক্যাল গুদাম স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পুরান ঢাকায় যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটতে পারে-এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
'Gas shortage leaves compressor stations inoperative'- অর্থাৎ গ্যাস সংকটের কারণে কম্প্রেসার স্টেশনগুলো অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এটি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের খবর। এতে বলা হয়েছে, সরকার বিভিন্ন জেলায় পর্যাপ্ত চাপে গ্যাস সরবরাহের জন্য ২০১৬ সালে দুটি কম্প্রেসার স্টেশন নির্মাণ করেছিল, কিন্তু অপর্যাপ্ত গ্যাস প্রবাহের কারণে ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত হয়েছে।
অপর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের কারণে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ২০২৩ সালে মাত্র ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছিল। রাষ্ট্রায়ত্ব গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) ১ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা খরচ করে কম্প্রেসার স্টেশন দুটি নির্মাণ করেছিল। যার বেশিরভাগ অর্থই এসেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ থেকে।
'পাইপলাইনের অভাব: গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে না ভোলায় মজুদ ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার গ্যাস'- বণিক বার্তার শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় এখন পর্যন্ত গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে তিনটি। এখানে গ্যাসের মোট উত্তোলনযোগ্য মজুদ আবিষ্কার হয়েছে ১ হাজার ২১৭ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। এর মধ্যে একটি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে স্থানীয় শিল্প-কারখানা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে। গত জুন পর্যন্ত হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, ভোলায় এখন উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মোট মজুদ ১ হাজার ৭৫ বিসিএফ। বাজার দর হিসাব করে দেখা গেছে, মজুদ এ গ্যাসের মূল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এসব ক্ষেত্রের গ্যাস মূল ভূখণ্ডে সরবরাহের জন্য পাইপলাইন নির্মাণ করা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে ভোলার এ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা গেলে তা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশে তীব্র হয়ে ওঠা গ্যাসের সংকট মোকাবেলায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারত।
'ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে উত্তাল বুয়েট'-এটি নয়া দিগন্তের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, ছাত্ররাজনীতি ইস্যুতে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এবার ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বুয়েট ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রবেশের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধের ঘোষণার পাশাপাশি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘটনায় জড়িতদের বহিষ্কারসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বুয়েট শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। তার আগে দুপুরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তথ্যসূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা
দৈনিক সরোবর/এএস