গ্রাহকের টাকা দিতে পারছে না কিছু ব্যাংক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৪, ০৮:২৪ রাত

ব্যাংকে টাকা তুলতে গ্রাহক হয়রানি—কালের কণ্ঠ পত্রিকার এই প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার পেয়েও সংকট কাটাতে পারছে না দেশের কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক। ফলে গ্রাহকের চাহিদামতো টাকা দিতে পারছে না এসব ব্যাংক। গত কয়েক মাসে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছেপে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর বাকি সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে গ্যারান্টির মাধ্যমে ধার দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু সম্প্রতি সংকটে থাকা কয়েকটি ব্যাংকের শাখা সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে কালের কণ্ঠ দেখেছে যে গ্রাহকদের অনেকেই অতি প্রয়োজনেও টাকা তুলতে পারছেন না। এমনকি এসব ব্যাংকে 'স্যালারি অ্যাকাউন্ট' থাকা মানুষদেরও টাকা পেতে নাজেহাল হতে হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকগুলো টাকা ফেরত দিতে না পারার দায় এককভাবে শুধু ব্যাংকগুলোর নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপরেও দায়িত্ব বর্তায়। কারণ লাইসেন্স দাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমানতের সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থার। কিন্তু গত ১৫ বছরে ব্যাংক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি তাকিয়ে দেখা ছাড়া কোনও কাজ করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক লুটকারীদের বিরুদ্ধে ভিয়েতনামের মডেল অনুসরণ করবে কি বাংলাদেশ— বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি।
এতে বলা হয়েছে, চীনা ভিয়েতনামি পরিবারে জন্ম নেওয়া ট্রুং মাই লান হলের ভিয়েতনামের অন্যতম শীর্ষ ধনী। কিন্তু গত অক্টোবরে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয় এবং পরে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ট্রুং মাই লান আপিল করেছিলেন, যা গত তেসরা ডিসেম্বর খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তবে ভিয়েতনামের আইন অনুসারে, আত্মসাৎ করা অর্থের তিন-চতুর্থাংশ ফেরত দিলে সাজা মওকুফের সুযোগ রয়েছে।
আদালত তার রায়ে জানিয়েছিলেন, ট্রুং মাই লানের মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হবে, যদি তিনি নয় বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেন। তবে বিদ্যমান অবস্থায় তিনি তার সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার অর্থ সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে।
ভিয়েতনামের এ ঘটনাটি বাংলাদেশের জন্যও শিক্ষণীয় বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক খাত সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্য ড. জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, দেশের বড় দুর্নীতিবাজদের অনেকেই পালিয়ে গেছেন। কেউ কেউ ধরাও পড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে এখানে মামলা হয়েছে। কিন্তু এগুলো দুর্নীতির মামলা না, হত্যা মামলা। তাড়াহুড়ো করে যথাযথ প্রস্তুতি না নিয়ে এ মামলাগুলো করা হয়েছে। এগুলো শেষ পর্যন্ত আদালতে টিকবে কিনা সন্দেহ আছে। যে মামলাগুলো করা হয়েছে সেগুলোর ভিত্তিতে এটি আশা করা কঠিন যে এতে কোনও সুফল বয়ে আনবে। পরবর্তী সময়ে যদি দুর্নীতিভিত্তিক মামলা করা হয়, যেখানে তথ্য-উপাত্ত আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে, তাহলে হয়তো আমরা কিছু আশা করতে পারি। ভিয়েতনাম যা করেছে আমরা যদি এ ধরনের কোনো কিছু করতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পারব না।
বিদেশে পাসপোর্টের জন্য হাহাকার— মানবজমিন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, দুনিয়ার দেশে দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্টের জন্য হাহাকার চলছে। বিশেষ করে শ্রমিক অধ্যুষিত দেশগুলোতে এই সংকট প্রকট। ইতালি, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাসপোর্টের মেয়াদ না থাকায় ভিসা নবায়ন বন্ধ, দেশে জরুরি কাজে ভ্রমণে আসতে না পারাসহ নানামুখী জটিলতায় দিনাতিপাত করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ।
মালয়েশিয়ায় এমআরপি পাসপোর্ট সেবা বন্ধ করায় রেমিট্যান্স শাটডাউনের ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছেন প্রবাসীরা। তারা তাদের ভোগান্তির বার্তা পাঠাচ্ছেন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বৈরশাসনের নিষ্ঠুর হয়রানি আর বিভিন্ন দেশের কঠোর বিধি নিষেধের ঝুঁকি সত্ত্বেও জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিঃশর্তভাবে সাপোর্ট দেয়া প্রবাসীদের বিষয়ে আগাগোড়ায় সংবেদনশীল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু কারিগরি কারণে তাদের পাসপোর্ট সমস্যার চটজলদি সমাধান অসম্ভব, এমনটাই বলা হচ্ছে এই প্রতিবেদনে।
এখন একদিকে প্রবাসীদের কান্না, অন্যদিকে তাদের প্রতি দায় থেকে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংকটটির একটি অন্তর্বর্তী সমাধান বের করতে গতকাল জরুরি বৈঠক বসেছিলেন পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন উপদেষ্টা।
সাবেক ৭৬৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ—প্রথম আলো পত্রিকার প্রধান শিরোাম। এতে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে জনপ্রশাসনে বঞ্চিত দাবি করে যেসব অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদন করেছিলেন, তাদের মধ্য থেকে ৭৬৪ জনকে পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে এ-সংক্রান্ত কমিটি। উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে অবসরে যাওয়া এসব কর্মকর্তাকে 'ভূতাপেক্ষ' পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। জনপ্রশাসনে পদোন্নতিবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটি গতকাল মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে।
কমিটির প্রধান জাকির আহমেদ খান অন্য সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই প্রতিবেদন জমা দেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৬ সেপ্টেম্বরসাবেক অর্থসচিব এবং বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিলো।
প্রসঙ্গত, এত বিপুলসংখ্যক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিকট অতীতে এভাবে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়নি। পাঁচ প্রকল্পেই খরচ বাড়ে ৫৬ হাজার কোটি টাকা—আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ যোগাযোগ খাতের পাঁচটি মেগা প্রকল্পে সব মিলে ব্যয় বেড়েছে ৫৬ হাজার ৬০৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের এসব প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রাথমিক খরচের চেয়ে অনেক বেশি। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরা শ্বেতপত্রে মেগা প্রকল্পের খরচের এমন চিত্র উঠে এসেছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বলেছে, কয়েকটি প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি। ফলে খরচ আরও বাড়তে পারে।
এই পাঁচ প্রকল্পের অপর তিনটি হলো পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল ও দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ। ওই শ্বেতপত্রে সড়ক, সেতু ও রেল যোগাযোগ খাত নিয়ে উল্লেখ করা হয়, সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়া, অদূরদর্শী নীতি এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে প্রকল্পগুলোর ব্যয় ক্রমাগত বাড়ছে। পদ্মা সেতুসহ ওই পাঁচ বড় প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে মোট ব্যয় ছিল ৭৭ হাজার ৪৩৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। পরে এসব প্রকল্পে ধাপে ধাপে ব্যয় আরও ৫৬ হাজার ৬০৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বাড়ানো হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় বৃদ্ধি, পরিকল্পনায় পরিবর্তন এবং সঠিক পূর্বাভাসের অভাবে এই ব্যয় বেড়েছে।
হাসিনার বিচার দাবিতে প্রকম্পিত সোহরাওয়ার্দী—এটি নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, হাজার হাজার স্বজনহারার কান্না আর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে গতকাল প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানবাধিকার সংগঠন 'মায়ের ডাক' এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে গুম-খুনের শিকার পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ এ দাবি তোলেন।
নিহত আর নিখোঁজদের স্বজনের বিচার দাবির এই সমাবেশে বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে ২০০৬ সালের লগি-বৈঠা তাণ্ডব থেকে শুরু করে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর হত্যাযজ্ঞ এবং জুলাই গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
একই সাথে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে সব দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করারও আহ্বান জানান তারা। তাদের দাবি, সাড়ে ১৫ বছরে ক্রসফায়ার ও বিচারবহির্ভূত সব হত্যা গুম নির্যাতনের বিচার করতে হবে। তারা বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো প্রতিটি সেক্টরে অবস্থান করছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এই ঘটনাটি আজ দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকারও প্রধান শিরোনাম হিসাবে এসেছে। র্যাবের বিলুপ্তি ও পুলিশ কমিশন চায় বিএনপি— দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, দুই দশক আগে বিএনপি সরকারের সময় দেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে গঠিত বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবের বিলুপ্তি চেয়েছে দলটি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির গঠিত পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিটির প্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ সুপারিশমালা তুলে ধরেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেনের কাছে পুলিশকে জনবান্ধব ও মানবিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে 'পুলিশ কমিশন' গঠন এবং 'র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিলুপ্তি চেয়ে এ সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাব ও সুপারিশ জমা দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপি নিজেদের আমলে গঠিত এই বাহিনীকে সংস্কার না করে কেন বিলুপ্ত করতে চায়, প্রশ্ন করা হলে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, র্যাব আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হয়েছে, আর দেশে তো র্যাব মানেই একটা দানব তৈরি করা হয়েছে। যত ধরনের খুন-গুম, যত এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং (বিচারবহির্ভূত হত্যা), অধিকাংশই এই র্যাব বাহিনীর মাধ্যমে হয়েছে। সে জন্য আমরা এটিকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছি।
Border security beefed up as fresh influx feared— নিউ এজ পত্রিকার এই প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, নতুন অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার। কারণ গত রোববার মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দাবি করেছে যে রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের পশ্চিমাঞ্চলে থাকা দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের শেষ ঘাঁটি দখল করেছে।
ফলে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তের পুরোটাই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, মিয়ানমারের সাম্প্রতিক এই পরিস্থিতি বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের নতুন করে প্রবেশের ঝুঁকি আরও বাড়াবে। মঙ্গলবার স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তারা সীমান্ত ও নাফ নদী দিয়ে অনুপ্রবেশ, বিশেষ করে মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রবেশ রোধে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের পক্ষে মত—সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, সংবিধান সংস্কার কমিশনের উদ্যোগে পরিচালিত জনমত জরিপে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা চালুর পক্ষে মত দিয়েছে বেশির ভাগ মানুষ।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুইবার থাকার পক্ষে মত এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারসাম্য আনতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন উত্তরদাতারা। সাধারণ নাগরিকের মতামত গ্রহণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে এ জরিপ চালানো হয়।
এতে আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে সংসদ নির্বাচন, সংবিধান সংশোধনে গণভোটের বিধান, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থানান্তর, উপজেলা স্তরে আদালত স্থাপনসহ ২১টি ইস্যুতে প্রশ্ন ছিল। পাঁচই ডিসেম্বর শুরু হওয়া এ জরিপ গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।
বিবিএস সূত্র জানায়, জরিপের মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী রোববারের মধ্যে ফল চূড়ান্ত করা হতে পারে। ২১ প্রশ্নের মধ্যে 'নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা চালুর' পক্ষে সর্বোচ্চ মত পাওয়া গেছে। অন্যান্য প্রশ্নে পক্ষে-বিপক্ষে প্রায় কাছাকাছি মত এসেছে। সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা
দৈনিক সরোবর/এএস