অবস্থান কর্মসূচি
১৭তম নিবন্ধনধারীরা আবেদনের সুযোগ চান
প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৪, ০৬:৩৮ বিকাল

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে ঈদুল আজহার দিনও মানববন্ধন করা হয়। এনটিআরসিএ’র ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন কর্মসূচিতে অনুত্তীর্ণ ৭৩৯ জন অন্তত আরেকবার আবেদনের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ সোমবার (১৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দ্রুত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে অন্তত একবার আবেদনের সুযোগ দেওয়ার’ দাবিতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, আমরা ১৭তম নিবন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা কখন এই হয়রানি থেকে মুক্তি পাবো? মানুষ গ্রামের বাড়িতে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার আনন্দ উদযাপন করছে। আর আমরা ঈদুল এই দিনেও রাজধানীতে মানববন্ধন করছি।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, আমরা ১৭তম নিবন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা কখন এই হয়রানি থেকে মুক্তি পাবো? মানুষ গ্রামের বাড়িতে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার আনন্দ উদযাপন করছে। আর আমরা ঈদুল এই দিনেও রাজধানীতে মানববন্ধন করছি।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামেরর আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হামিদুর রহমান রন বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রিলিমিনারি, রিটেন ও ভাইভার পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরে। এক বছরের একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে লাগে প্রায় চার বছর। এতে আমাদের ৭৩৯ জনের বয়স পার হয়ে গেছে। অথচ সনদের মেয়াদ ৩ বছর থাকা সত্ত্বেও আরেকবার আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। কিন্তু বিগত গণবিজ্ঞপ্তিতে সবগুলোতেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া করোনার জন্য সারা পৃথিবী ছাড় পেলেও শুধু ১৭তম-দের জন্য কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। দ্রুত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে অন্তত একবার আবেদনের সুযোগ দাবি করছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আন্দোলনকারীরা ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের সমন্বয়কারীরা জানান, তাদের যৌক্তিক দাবি মানা না হলে ঈদুল আজহার ছুটির পর এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে এবং ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, এনটিআরসিএ গত ৩১ মার্চ প্রকাশিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ হাজারেরও কম প্রার্থী আবেদন করে। এতে এনটিআরসিএ প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করেছে ২২ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থীকে। আর বঞ্চিত হয়েছেন ৭৩৯ শিক্ষক নিবন্ধনধারী।
দৈনিক সরোবর/কেএমএএৃ