ঢাকা, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

দ্রুত পুর্নবাসন ও আর্থিক সাহায্য জরুরি

সম্পাদকের কলম

 প্রকাশিত: এপ্রিল ০৯, ২০২৩, ০৭:৫৪ বিকাল  

দেশে বারবার বিভিন্ন ভবন, কারখানা, মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। কয়েকদিন আগে সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে মানুষ হতাহতের ঘটনায় সবাই ব্যথিত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন সংস্থার দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রমে যতটা সম্ভব ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়েছে। সিদ্দিকবাজারের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বঙ্গবাজার পুড়ে ভস্ম হওয়ায় মানুষকে ভিষণ ব্যথিত করেছে। 

নিন্ম ও মধ্যবিত্তের কাছে বঙ্গবাজার খুবই পরিচিত একটি নাম। এখানে অন্যান্য স্থানের তুলনায় কমদামে, তবে মানসম্পন্ন পোশাক পাওয়া যেত। বিদেশিদের কাছে পর্যন্ত বঙ্গবাজার জনপ্রিয় ছিলো। এখন অগ্নিকান্ডে বঙ্গবাজার ভস্ম হওয়ায় শত শত দোকানি চরম বিপদে পড়লেন। 

রোজার মাসে ভাগ্যে বিপর্যয় নেমে আসবে, তা ভেবেও দেখেননি কেউ। কিন্তু ঘুর্ণাক্ষরে যা ভেবে দেখেনি কেউ, তাই সবার চোখের সামনে ঘটে গেল। বারবার দেশে অগ্নিকান্ডের ঘটনা কেন ঘটছে, এর কি সঠিক কোনও জবাব নেই? অনেক সময় দায়িত্বশীলদের তরফ থেকে আন্দাজ করা হয়েছে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ হিসেবে। 

আমরা কিছুদিন দেখেছিলাম, আমাদের রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প কারখানার বেশ কয়েকটি অগ্নিকান্ডের শিকার হয়। এতে হতাহত হন অনেকে। আমাদের পোশাক খাতের উত্থানকে ঠেকিয়ে রাখতেই ষড়যন্ত্রমূকভাবে পোশাক কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করতেন। তবে পোশাক কারখানায় আগুন লাগার প্রকৃত ঘটনা যাই হোক, এ খাতকে কোনও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি। 

গত বছর (২০২২ সালে) বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, কারখানা থেকে শুরু করে ভবন রয়েছে। এসব ঘটনা মানুষের মনে প্রচণ্ড ভয়ের সৃষ্টি করে। চলতি বছরের ৩ মাস বিগত হয়েছে। এ বছরেও কয়েকট বড় রকমের অগ্নিকান্ডের ঘটনা জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এসব প্রশ্নের সবগুলো প্রশমিত করাও উচিত বলে আমরা মনে করি। 

সে যাই হোক। পোশাকের জনপ্রিয় মার্কেট বঙ্গবাজার সবার চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, তা মানতে পারছেন না অনেকে। উল্লেখ্য, সাড়ে ৬ ঘণ্টার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেট। আগুনে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ পাইকারি মার্কেটের ৫ হাজার দোকান। ঈদের আগে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন হাজারো ব্যবসায়ী। 

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ আগুনে ছাই হয়েছে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার সামগ্রী। রক্ষা পায়নি পুলিশ সদর দফতরও।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া আগুন ছড়িয়ে পড়ায় তলব করা হয়েছিল সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপক ইউনিটকে। লাইফ সেভিং ফোর্সের (ফায়ার সার্ভিস) সদস্যদের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয় সেনা, নৌ, বিমান, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। সবার একাগ্র চেষ্টায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।

জানা যায়, সাড়ে ৬ ঘণ্টার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেট। আগুনে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ পাইকারি মার্কেটের ৫ হাজার দোকান। ঈদের আগে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন হাজারো ব্যবসায়ী। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ আগুনে ছাই হয়েছে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার সামগ্রী। রক্ষা পায়নি পুলিশ সদর দফতরও। 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তলব করা হয়েছিল সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপক ইউনিটকে। লাইফ সেভিং ফোর্সের (ফায়ার সার্ভিস) সদস্যদের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয় সেনা, নৌ, বিমান, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। সবার একাগ্র চেষ্টায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। 

আমরা মনে করি, বঙ্গবাজার ভস্মিভ‚ত হওযায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের পাশে সরকারের দাঁড়ানোর পাশাপাশি অন্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের যারা বিত্তশালী ব্যক্তি আছেন, তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে আমরা আশা করি। বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়ায়, এতে যাদের দোকান ছিলো, তারা হঠাৎ করে নিঃস্ব হয়ে পড়লেন। রোজার মাসে তাদের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার মতো নয়। আমরা বলবো সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসন সহ নানা আর্থিক সহযোগীতা সরকার করবে।