আলু সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে কৃষক
প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৫, ০৮:৩৬ রাত

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম- হিমাগারের আকস্মিক ভাড়া বৃদ্ধিতেই দাম পড়েছে কৃষিপণ্যের।
খবরে বলা হয়েছে, বাজারে এখন প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৭ টাকা দামে। যদিও কৃষিপণ্যটি উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় হচ্ছে কেজিতে ১৩-১৪ টাকা।
একইভাবে উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো ও পেঁয়াজও। এসব কৃষিপণ্যের দাম উৎপাদন ব্যয়ের নিচে নেমে আসার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা দায়ী করছেন আকস্মিকভাবে হিমাগারের ভাড়া বেড়ে যাওয়াকে।
কৃষি খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত হিমাগার ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়ায় আলু সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তাই ছয় মাস বাড়তি ভাড়া দিয়ে আলু সংরক্ষণের ঝুঁকি না নিয়ে মাঠেই কম দামে আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
এতে ভরা মৌসুমে আলুর দাম খুচরা বাজারে কেজিতে ২০ টাকার নিচে নেমে এলেও মৌসুম শেষে বাজার চড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার অভাবে একই অবস্থা পেঁয়াজ ও টমেটোর বাজারেও।
অবিশ্বাস্য ঋণ জালিয়াতি—যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের নামে এতদিন যে খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, বাস্তবে তা দ্বিগুণের বেশি।
এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হওয়া তদন্তে বেক্সিমকো গ্রুপের নামে-বেনামে ৫৩ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এটি আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
শুধু তাই নয়, আমদানি-রপ্তানির আড়ালে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার হিসাব এখনও মিলছে না। এসব টাকা পাচার হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে সালমান এফ রহমানের ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা পাচারের তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া, সব মিলিয়ে মোট ৬১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, লেনদেন স্থগিত বা আটক করা হয়েছে। বিদেশে ৫টি শেল কোম্পানির (প্রকৃত মালিকের পরিচয় গোপন করে বেনামি কোম্পানি) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেক্সিমকো গ্রুপ ব্যাংক থেকে শুধু ঋণ নিয়েছে। কোনো ঋণ পরিশোধ করেনি। খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করার যোগ্য ঋণকেও তাদের চাপের মুখে কোনো ব্যাংক খেলাপি হিসাবে শনাক্ত করেনি, এমনটাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংস্কার কখন কতটুকু হবে সিদ্ধান্ত নেবে দলগুলো—আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। যা বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন খাতে সংস্কারপ্রক্রিয়া নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মন্তব্য।
এই খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
তবে কতটুকু সংস্কার করা হবে এবং তার কতটা নির্বাচনের আগে এবং কতটা পরে হবে, দেশের জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোকেই তা ঠিক করতে হবে, এমন মতামত ব্যক্ত করেছেন আন্তোনিও গুতেরেস।
গতকাল শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে রাজনৈতিক দল, তরুণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
পরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও সংস্কারপ্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তার কথা বলেন তিনি।
এদিকে, বৈঠকে ন্যূনতম সংস্কারের পরই ভোটের কথা বলেছে বিএনপি। সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে জামায়াত।
নয়া রাজনৈতিক দল এনসিপির মতে, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কাজে আসবে না। দলটির পক্ষ থেকে গণপরিষদ নির্বাচনের কথাও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণহত্যাকারীদের বিচারের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া, ভারতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে বিচারের মুখোমুখি করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো আলোচনা করেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
Rohingya return extremely difficult now: UN chief,-অর্থাৎ জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখন অত্যন্ত কঠিন। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রধান শিরোনাম এটি।
মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির তীব্র লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের তাৎক্ষণিক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন অত্যন্ত কঠিন হবে।
গতকাল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, মিয়ানমারে লড়াই বন্ধ করা ও সেখানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলোকে একত্র করে একটি সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে।
'একই সঙ্গে আমাদের মিয়ানমারের ভেতরে মানবিক সহায়তা জোরদার করতে হবে, যাতে প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়'—আরও যোগ করেন তিনি।
বিস্তারিত কিছু না জানালেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবসানে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংলাপে বসা জরুরি হয়ে পড়েছেও মন্তব্য করেন আন্তোনিও গুতেরেস।
এদিকে, তার সম্মানে রাজধানীতে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করেছেন।
এ সময় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, 'আমরা আপনার আশীর্বাদ চাই, বিশেষত একটি বিষয়ে— অপতথ্যের বিরুদ্ধে, যা আমাদেরকে ধ্বংস করছে'।
সড়কপথে গণপরিবহনে ঈদ যাত্রা ঘিরে আতঙ্ক—কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার একটি খবর এটি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনে ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উদ্বিগ্ন। আসন্ন ঈদ যাত্রায় সড়কপথে গণপরিবহন চালাতে ডাকাতির ভয়ে আতঙ্কে আছেন বাস মালিকরা।
বিশেষ করে রাতে দূরপাল্লার বাসে ডাকাতির শঙ্কার কথা বলছেন তারা। ডাকাতির এসব ঘটনায় দূরপাল্লার বাসযাত্রীদের নিরাপত্তা যেমন হুমকিতে, তেমনি মালিকরাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
গবেষণা ও সচেতনতামূলক প্রতিষ্ঠান সেভ দ্য রোডের তথ্য মতে, গত আট মাসে সড়ক, রেল ও নৌপথে চার হাজার ৫০৫টি ছিনতাই এবং ২৫৫টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শুধু সড়কপথে এক হাজার ৮৬৮টি ছিনতাই আর ১১৩টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৬৮ জন।
প্রতিষ্ঠানটির মহাসচিব শান্তা ফারজানা মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে প্রতি তিন কিলোমিটার পর পর পুলিশ বুথ বা ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে সড়কে টহল পুলিশ বাড়ানোর পাশাপাশি চিহ্নিত বিশেষ বিশেষ স্থানগুলোয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি আরো বাড়ানোর জন্য বলেছেন।
এদিকে, ঈদ উপলক্ষ্যে সড়ক-মহাসড়ক, সেতু ও রেলপথের যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সম্প্রতি আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায়ও মহাসড়কে ডাকাতির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
`দুই বছরের মাথায় যন্ত্র বিকল: একেকটি ট্রেন ধুতে গচ্চা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা’- প্রথম আলো’র শিরোনাম।
এতে বলা হয়েছে, রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, দুটি প্ল্যান্ট দিয়ে দুই হাজার ৯২৯ বার ট্রেন ধোয়া সম্ভব হয়েছিল। সে হিসাবে প্ল্যান্ট দুটি স্থাপনে যে ব্যয় হয়েছে, তাতে প্রতিটি ট্রেন ধোয়ার পেছনে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
আর প্রচলিত ব্যবস্থায় হাতে ট্রেন ধুতে খরচ হয় ১ হাজার টাকার মতো।
ওয়াশিং প্ল্যান্ট নামে যে ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল, তাতে মূলত কিছু স্বয়ংক্রিয় ব্রাশ, সাবানপানি ও সাধারণ পানি ছিটানোর ব্যবস্থা এবং কয়েকটি বৈদ্যুতিক পাখা ছিল। সাধারণ এই ব্যবস্থা তৈরিতে এত ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল তখনই।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক দিন ধরে প্ল্যান্ট দুটি বন্ধ। সেগুলো পুনরায় চালু করতে আরও বিনিয়োগ দরকার, যা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।
সরকারি খাতায় সফল, আদতে 'মাকাল ফল'—সমকালের শেষ পাতার প্রধান খবর এটি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভিক্ষুক পুনর্বাসনের নামে দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় ঢালা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এই প্রকল্প 'সফল' বলে কর্মকর্তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন বেশ। সরকারি প্রতিবেদনেও 'হাজার হাজার ভিক্ষুক পুনর্বাসিত' উল্লেখ করে কুড়াচ্ছেন বাহবা।
কিন্তু আগের ভিক্ষুকদের রাস্তায় রাস্তায় থালা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। তারা পুনর্বাসিতই হলে পূর্বের পেশায় ফিরলেন কেন—এসব প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তারা।
প্রকল্পটির বরাদ্দের টাকা ইচ্ছামতো নয়ছয় এবং অব্যবস্থাপনার কারণে পুরো প্রকল্প ব্যর্থ—অনুসন্ধানে সে প্রমাণ পেয়েছে সংবাদপত্রটি।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে ক্ষুদ্র ব্যবসা, গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। ২০১০ সাল থেকে পরের ১৪ বছরে এই প্রকল্প ৮৭ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। যার বড় অংশ গেছে উত্তরের ১৬ জেলায়।
সরকারি নথি বলছে, বরাদ্দের বড় অংশ খরচ হয়েছে জরিপ, প্রশিক্ষণ ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে। জরিপে গেছে ১০ শতাংশ, প্রশিক্ষণে ২৫ শতাংশ আর অবকাঠামো নির্মাণে ৩০ শতাংশ।
প্রশিক্ষণের নামে এ প্রকল্পে শুধু কাগজে-কলমে কর্মসূচি চলে। বাস্তবে কাজ না জানার কারণে পুনর্বাসিত ভিক্ষুকরা ফিরে যান পুরোনো পেশায়।
আমিরাতের ভিসা কবে চালু হবে বলতে পারছেন না রাষ্ট্রদূত—নয়া দিগন্তের প্রধান খবর এটি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। কী কারণে বন্ধ করা হলো, সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হচ্ছে না। তবে মাঝেমধ্যে শোনা যায় শিগগির শ্রমবাজারটি খুলছে।
এর মধ্যে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদ গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, আমিরাত সরকারের ভিসা চালুর বিষয়ে তিনি কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বা সময় বলতে পারবেন না। তবে শ্রমবাজারটি খুলতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালানোর কথা বলেছেন এ রাষ্ট্রদূত।
তার এমন কথায় অভিবাসন বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি আসলে জটিল হয়ে রয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শ্রমবাজারটি হুট করে বন্ধ করে দেয় ইউএই সরকার।
এদিকে, শ্রমিক ভিসার পাশাপাশি ভ্রমণ ভিসাও দিচ্ছে না দেশটি। তারপরও জনশক্তি কর্মসংস্থাণ ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর বহির্গমন শাখা থেকে ছাড়পত্র নিয়ে (স্মার্ট কার্ড) গত ১২ মার্চ একাধিক ফ্লাইটে শতাধিক যাত্রী দেশটির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলে জানতে পারে নয়া দিগন্ত।
বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রনালয়ের নজরেও এসেছে। এ নিয়ে চলছে নানা কানাঘুষা।
দেশ রূপান্তরের দ্বিতীয় প্রধান খবর— ২০ বিলিয়নের 'ফাঁদে' আটকে রিজার্ভ।
খবরে বলা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ঘরে ওঠানামা করছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে রিজার্ভ থেকে ডলার খরচ ও অর্থপাচার অনেকটা বন্ধ এবং বর্তমানে রেমিট্যান্সপ্রবাহ ভালো, রপ্তানিও শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও ২১ বিলিয়নের গন্ডি পার হয়নি রিজার্ভ।
সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানিব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে আমদানিব্যয় সংকুচিত করা ছিল। সম্প্রতি সংকট ঠেকাতে আমদানি বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে রিজার্ভ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের ব্যবহারযোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানিব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, এখন আর রিজার্ভ কমবে না। ধীরে ধীরে বাড়বে। সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা
দৈনিক সরোবর/এএস