রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 

বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সিটি করপোরেশন যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এসময় তিনি বলেন, রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার দুপুরে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী ঢাকায় আগুনের ঘটনা ঘটলে পানির সংকটে পড়তে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসকে। সবশেষ বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনাতেও পানি সংকটে ভুগতে হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে আমরা ঢেলে সাজাচ্ছি। পানির সরবরাহ না থাকলে ফায়ার সার্ভিস অসহায় হয়ে পড়ে। পানির ব্যবস্থা থাকার জন্য সিটি করপোরেশন ও রাজউক ব্যবস্থা নেবে।

ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করবেন কি না অথবা আপনারা অন্য কোনো চিন্তা ভাবনা করছেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটার সিদ্ধান্ত হবে। এটা সিটি করপোরেশন টেন্ডারও করেছিল। একজন কন্ট্রাক্টও করেছিল। তারপর ব্যবসায়ীদের অনুরোধে হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ আনেন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বঙ্গবাজার এর আগেও ১০ বার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘৬টা ১০ মিনিটে যখন আগুন লাগে তার দুই-তিন মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কিন্তু চোখের সামনে আগুন নিমিষেই প্রসারিত হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের এক্সপার্ট কর্মকর্তারা এলেও নানা কারণে তারা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন। পাশে পুলিশ সদরদপ্তরে আগুন লেগেছিল। কিছু ক্ষতি পুলিশ সদরদপ্তরেরও হয়েছে। কিন্তু আগুনে চারটি মার্কেট সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।’

দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরেকটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

আগুনে কারো গাফিলতি ছিল কি না অথবা পরবর্তীতে আমাদের কী করণীয় সেই দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতে যাতে এমন বড় অগ্নিকাণ্ড না হয় সেক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা মেনে চলবেন।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন ঈদকে টার্গেট করে তারা বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মালামাল তুলেছিলেন। কিন্তু ভয়াবহ আগুনে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়।’

দৈনিক সরোবর/ আরএস