সংবিধানের সম্মানই বড়
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৩, ০১:০৭ রাত

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বেশি সময় আর বাকি নেই। ইতোমধ্যে নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। অনেকেই মনে করেন, বিগত দিনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এতটা দৌড়ঝাঁপ দেখা যায়নি যতটা বর্তমানে দেখা যাচ্ছে। কারণ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করেছেন। এ ছাড়া ভৌগোলিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল চার দিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় আসছে। এ সফরের ওপর কৌতূহলীদের চোখ রয়েছে। প্রতিনিধি দলটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী কথাবার্তা বলে, তা বুঝতে পারা যাবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচারের পর।
আগামী সেপ্টেম্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসির ঘোষণার সম্ভাবনা আছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে বেশি সময় নেই। এদিকে বিএনপি অনির্বাচিত সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এবং সরকার সংবিধান অনুসারেই নির্বাচন করবে। ফলে বিএনপি অনির্বাচিত সরকারের যে দাবি জানিয়ে আসছে, এর ফয়সালা কে দেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই সংবিধান অনুসারে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পক্ষে অটল অবস্থায় রয়েছে। অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে দেশটি কখনোই সাফাই গায়নি। গণতন্ত্রকে পোক্ত করে তুলতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের গণতন্ত্র যাতে আরো শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে, এ জন্য দেশটি সব সময় সহায়তায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে আছে। তাই বিএনপির হয়ে অনির্বাচিত সরকারের পক্ষ নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলটির কোনো ধরনের দেনদরবার হবে না বলে আমরা মনে করি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের ভেতরে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হোক, তাও কাম্য নয় কারোর।
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের কাছে বাংলাদেশের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে আলোচনায় স্থান পেলেও এর একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রতিনিধি দলটি শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের ওপরই গুরুত্ব আরোপ করতে পারে। বিএনপির মনমতো কথা প্রতিনিধি দলটির পক্ষে বলা সম্ভব হবে নয়। ফলে বিএনপি যেভাবেই চাইবে, সেভাবে প্রতিনিধি দলটি নিজেদের তুলে ধরবে না। এতে হয়তো বিএনপির আশাভঙ্গের কারণ হতে পারে। আমরা মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি সম্মান দেখাবে।