ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

রপ্তানি আয়ে আশাবাদ

সম্পাদকের কলম

 প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩, ০৭:৩৫ বিকাল  

ফাইল ফটো

আমরা যদি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে প্রতীয়মান হবে যে, উন্নত দেশগুলো গোড়াতে শিল্পোন্নত হয়ে উঠার জন্য কতটা শ্রম ও মেধা খাটিয়েছে। এ দুটো কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে দেশগুলো করেছে বলেই, বিশ্বের উন্নত দেশের অভিধা পেয়েছে। 

দেশের অর্থনীতিকে মজবুত অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশকে শিল্পোন্নত করা অপরিহার্য। এটাকে কেউ যদি অন্যভাবে চিন্তা করেন, তিনি নির্ঘাত ভুল ভাবছেন। 

ক্রমশ দেশের রপ্তানি আয় বেড়ে চলছে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের তৈরি জিনিসপত্র সুনাম বয়ে আনছে, এটা চাট্টিখানি বিষয় নয়। রপ্তানি পোশাক দিয়ে আমরা বিশ্ব বাজার মাত করে তুলেছি। এর পাশাপাশি অন্যান্য জিনিসও বিশ্ব বাজার মাত করছে। 

যারা দেশের রপ্তানি পণ্য বাড়ার বিষয়টিতে খুশি হবেন, তাদের জন্য আনন্দ বয়ে আনবে যে, চলতি মে মাসে রপ্তানি আয়ের যে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিলো, তা প্রায় ছুঁই ছুঁই অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অর্জনকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তবে এ কথাও বলতে হচ্ছে যে, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন-অগ্রতি নিয়ে দেশের এক শ্রেণির মানুষ যতই তামাশামূলক কথাবার্তা বলে নিজেদের চরম মূর্খের পরিচয় দিক না কেন, দেশ যে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সত্যিকার অর্থেই উন্নয়ন-অগ্রগতি ঘটিয়েছে, তা, মোটেই অবাস্তব বা কাল্পনিক নয়। 

আমরা তো মনে করি, দেশে যে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠছে, তার সবগুলো আত্মপ্রকাশ করলে দ্রুতই দেশ শিল্পোন্নত দেশের কাতারে নাম লেখাতে পারবে। হয়তো খুব বেশি সময় লাগবে না এতে। 

জানা গেছে, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি কমলেও মে মাসে রপ্তানি আয়ে এসেছে সুখবর। গেল মাসে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে ৪৮৪৯ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ইউএস ডলার। মে মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০১৯ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার বেশি রপ্তানি হয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩৮৩০ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। রোববার (৪ জুন) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

পরিশেষে আমরা বলবো যে, আমরা অবশ্যই আশাবাদী হয়ে থাকবো যে, আগামী দিনগুলোতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা যেমন বাড়বে, তা পূরণও হবে। ক্রমশ দেশে শিল্প কারখানা  এবং বিদেশি বিনিয়োগ যেভাব বাড়ছে, তাতে ভাবা যায়, রপ্তানি আয়ে আমাদের সুসংবাদের পর সুসংবাদের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে। দেশের অবস্থা যদি অস্থিতিশীল না হয়, তাহলে, এ নিয়ে কোনও শঙ্কাও থাকবে না।

দৈনিক সরোবর/আরএস