অহেতুক বিদেশ সফর নয়
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩, ১২:৫১ রাত

দেশের উন্নয়নের সাথে মানুষের ভাগ্যেরও বদল হয়েছে। উন্নত জীবন যাবপন করার আকাঙ্ক্ষা থাকে প্রতিটি দেশের প্রতিটি মানুষের। বাংলাদেশের মানুষ আজ সেই উন্নত জীবন যাপন করার সুযোগ পেয়েছে।
রাষ্ট্রের ক্ষমতার কাছাকাছি যারা থাকেন, তারা প্রচুর সুযোগ পাওয়ার পরেও তৃপ্ত নন। অহেতুক বিদেশ সফরে যান মন্ত্রী আমলারা। এটা যেন একটি রেওয়াজে পরিণত হয়ে আসছিলো। সরকারি টাকায় অযথা বিদেশ সফরে যান রাষ্ট্রের উপকার বয়ে আনবেন বলে। কিন্তু তলিযে দেখা যায়, স্রেফ বিদেশ যান বিনোদন সফরের লক্ষ্যে। এতে দেশের বা রাষ্ট্রের কোনও উপকার আসে না।
রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে এসব সফরের খবরে সংবাদ মাধ্যম সবসময় বিরোধীতা করে এসেছে। এর বিরুদ্ধে থেকেছে সোচ্চার। বিষয়টি সরকারের শীষ পর্যায়কে ভাবিত করেছে।
সরকারি সফরের নামে মন্ত্রী আমলা বিদেশে যান ঘোরেন ফেরেন পরে দেশে ফেরেন। এ বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হলেও মন্ত্রী আমলাদের অহেতুক বিদেশ সফর থামাতে সরকারকে অনেকটাই কঠোর হতে হয়েছে। অবশ্য এতে অপচয়ের হাত থেকে সরকারের টাকা বেঁচে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সভায় এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও কৃচ্ছ্রসাধন করতে বলেছেন। তিনি বলেন, ব্যয় বন্ধ করা হবে না। ব্যয় বন্ধ হলে অর্থনীতি অচল হয়ে যাবে। যেখানে দরকার সেখানে অবশ্যই ব্যয় করতে হবে। অহেতুক ব্যয়, আয়েশি ব্যয়, বিলাসী মনোভাব পরিহার করতে হবে। ঐহিত্যগতভাবে যদি কারও এসব মনোভাব থেকেও থাকে তা ভুলে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী সরকারের আমলা, কর্মকর্তা ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের অহেতুক বিদেশ সফর নিরুৎসাহিত করতে বলেছেন।
পরিশেষে আমরা বলবো, ফের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী আমলাদের অহেতুক বিদেশ সফরের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে সঠিক কাজটিই করেছেন। এ ব্যাপারে যেন ব্যত্যায় না ঘটে তার দিকেও নজর রাখার প্রয়োজন আছে।