যেসব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবিলায়
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৩, ০৮:৫৮ রাত

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার আগেই যাতে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে পারি।
তিনি বলেন, আবহাওয়া দপ্তর থেকে যখনই বিপৎসংকেত দেওয়া হবে, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হবে, তখনই যেন দ্রুততার সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেব-তারা যাতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখেন। আশ্রয় কেন্দ্রে যাতে খাবার এবং নিরাপদ খাবার পানি রাখেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এনামুর রহমান বলেন, গত মাসে ঘূর্ণিঝড় হামুনের সময় বরাদ্দ দেওয়া চাল, শুকনা খাবার, গোখাদ্য, শিশু খাদ্য ও অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিলাম। আশা করছি সে অর্থ মজুত আছে। সেগুলো আপনারা ব্যবহার করবেন, খরচ করবেন। আরও যদি কিছু প্রয়োজন হয়, আমাদের জানাবেন আমরা সাথে সাথেই ব্যবস্থা করে দেব।
প্রতি বছরের নভেম্বর মাসে ভয়াবহ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ আঘাত হেনেছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টি মাথায় রাখব। নভেম্বর মাসে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আসছে। গুরুত্ব সহকারে নেব এবং সকল প্রকার সতর্কতা অবলম্বন করে প্রত্যেক মানুষ, গবাদি পশুর জীবন রক্ষা করার জন্য আমরা কাজ করে যাব।
কত সংখ্যক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে-জানতে চাইলে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সঠিক সংখ্যাটা বলা কঠিন। যেহেতু এটি ক্যাটাগরি-১ ঘূর্ণিঝড় তাই ঝুঁকির পরিমাণ কম। তাই আমরা একেবারে উপকূলবর্তী যারা বাস করে তাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করব।
এনামুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার শেষ রাত নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে মিধিলি। নামটি মালদ্বীপের দেওয়া। এটি শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে ভোর নাগাদ গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১১টি জেলায় আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলাগুলো হলো- বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও চট্টগ্রাম।
দৈনিক সরোবর/এএস