এখন লক্ষ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিদ্যুৎপ্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, শতভাগ বিদ্যুতায়নে আমরা সফল হয়েছি, এখন আমাদের লক্ষ্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।

শনিবার এফবিসিসিআই ভবনে ‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, বঙ্গবন্ধুর দর্শন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে মাস্টারপ্ল্যান রিভিউ করতে হয়েছে। অনেক কিছু করতে পেরেছি, অনেক কিছু হয়নি। করোনা পরিস্থিতি না হলে আরো কিছু করা সম্ভব হতো। আমাদের আবিষ্কৃত গ্যাস আর মাত্র আট থেকে নয় বছর চলবে। নতুন নতুন গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার হচ্ছে, কিন্তু সেগুলো ছোট। ৪৬টি কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছি, এতে সাড়ে ছয় শ’ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে, একই সময়ে কিছু কূপের উৎপাদন কমে যাবে। সেটিও সাড়ে ছয় শ’র মতো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গ্যাস সংকট থেকে বের হয়ে আসতে পারব। তবে, পরিকল্পিত জোনে শিল্প স্থাপন করতে হবে। সেখানে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে। ভোলায় উদ্বৃত্ত গ্যাস রয়েছে, পাইপলাইনের অভাবে আনা যাচ্ছে না। কিন্তু ভোলায় শিল্প স্থাপন করা হলে এখনই গ্যাস সংযোগ দেওয়া যাবে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে সাহস করে পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড কিনে নেন। সেসব গ্যাস ফিল্ড থেকে তিন লাখ হাজার কোটি টাকা অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে। ২১ বছর লেগেছে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে।

তিনি বলেন, আমরা পানির নিচ দিয়ে ২৬০ কিলোমিটার লাইন করেছি। আগে গভীর সমুদ্রে থাকা জাহাজ থেকে তেল খালাস করতে ১২ দিন লাগত, এখন ৪৮ ঘণ্টায় তেল খালাস হবে। এতে বছরে হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এটা করতে গিয়েও বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। সিনিয়ররা প্রযুক্তি নিতে চায় না, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে, স্মার্ট থিংকিংয়ে যুক্ত হতে হবে। আমাদের জন্য কয়লায় বিরাট সম্ভাবনা।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এ সেমিনারের আয়োজন করে।