ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

বন্যার্তদের যেসব জিনিস ত্রাণ হিসেবে পাঠাতে পারেন

সরোবর  ডেস্ক

 প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০৫:২৭ বিকাল  

আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের বিস্তীর্ণ জনপদ। এতে অনেক সংকটের মধ্যে জীবনযাপন করছে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। তাদের না আছে খাবার,পানি,বাসস্থান,জামাকাপর। তাই তাদের সাহায্যের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন ভাবে কাজ করছে। বন্যা স্বল্পমেয়াদী হলেও এর প্রভাব হয় দীর্ঘমেয়াদি। নানারকম স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দেয় বন্যাদুর্গত এলাকায়। স্বাভাবিক জীবনে ফেরা তাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। 

বন্যার পানি কমতে শুরু করলে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজের বসতবাড়িতে ফিরতে শুরু করেন। এসময় নিরাপদ পানি ও খাবারের প্রয়োজন হয় সবচেয়ে বেশি। সেসঙ্গে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও জরুরি। যারা দুর্গত এলাকার মানুষদের সাহায্য করছেন তাদের বন্যা পরবর্তী সময়ের সহায়তার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে। বন্যাদুর্গতদের কী কী সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে চলুন জেনে নিই- 

পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ফিটকিরি

বন্যাদুর্গত এলাকায় চারপাশে পানি থাকলেও খাবারযোগ্য পানি মেলে না। নিরাপদ, বিশুদ্ধ পানির অভাবে পড়েন মানুষ। অন্যদিকে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, জন্ডিসসহ নানা রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে পানি আর খাবারের মাধ্যমে। তাই বিশুদ্ধ পানি পান করা জরুরি। তাই পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বা ফিটকিরির প্রয়োজন হবে। 

প্রয়োজনীয় ওষুধ

বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ হিসেবে ওরস্যালাইন দিতে পারেন। একে জীবন রক্ষাকারী আবিষ্কার বলা হয়। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় রাখতে পারেন প্যারাসিটামল। বন্যার সময় অনেকে আহত হন। সেক্ষেত্রে কাজে আসবে গজ, ব্যান্ডেজ। সম্ভব হলে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্র বা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিন। তারা জানবেন কোন ওষুধ বেশি প্রয়োজন হচ্ছে। 

পরিষ্কারক উপকরণ

সুস্থ থাকলে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হওয়া জরুরি। বন্যার পানিতে ভিজে যাওয়া কাপড়চোপড়, বাসনকোসন, ঘরের মেঝে, নিত্যব্যবহার্য জিনিস—যা কিছু বন্যার পানির সংস্পর্শে এসেছে, সবকিছু জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া জরুরি। তাই বন্যার পর প্রচুর সাবান, ডিটারজেন্ট ও ব্লিচিং পাউডার প্রয়োজন হয়। 

নারী ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস 

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন নারী ও শিশুরা। তাই নারী স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় স্যানেটারি প্যাডের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার সামগ্রী গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের জন্য দুধ, শিশু খাদ্য, ডায়পার এসব লাগতে পারে। 

বাজার-সদাই

বন্যার পানি নামার পর আয়োজন করে রান্নাবান্না করা না হলেও জীবন বাঁচাতে খাবারের প্রয়োজন হয়। এসময় তাই নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু খাদ্যদ্রব্য তাদের দিতে পারেন। চাল, ডাল, গুঁড়া দুধ, মশলা এসব রাখতে পারেন তালিকায়। 

বন্যার পানি নামার পরেও ভারী বৃষ্টিপাত কিংবা অন্য কোনো কারণে পানি বাড়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই এসময় কিছু শুকনো খাবার সঙ্গে রাখা উচিত। মুড়ি, চিড়া, বিস্কুট, বাদাম, খেজুর প্রভৃতি পাঠাতে পারেন দুর্গত এলাকায়।

দৈনিক সরোবর/এমই