ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

লোডশেডিংয় নিয়ে যে বার্তা দিলেন উপদেষ্টা

সরোবর প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ০৮:২৪ রাত  

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশজুড়ে গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে লোডশেডিং। সারাদেশে দিনে-রাতে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে কবে মুক্তি মিলবে সেই প্রশ্ন গ্রাহকদের। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, লোডশেডিং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে, ২০ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) নির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

লোডশেডিংয়ের কারণ তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, একসঙ্গে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যে কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। হঠাৎ করে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। একই সময়ে রামপালের একটি ইউনিটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। গ্যাস সরবরাহ ঠিক থাকলে এই সংকট সামাল দেওয়া সহজ হতো।

উপদেষ্টা আরো বলেন, সামিট গ্রুপের এফএসআরইউ (ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল) কয়েক মাস ধরে বিকল থাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। এলএনজি আমদানির কাজ চলছে, ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো সময় লাগবে। তারপর গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে। গ্যাস সংকটের কারণে শিল্প ও সার কারখানায়ও সমস্যা হচ্ছে।

বড়পুকুরিয়া ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করছি ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উন্নতি হবে।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমানও লোডশেডিং নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার তুলনায় আজকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বুধবার দুপুরের দিকে ১ হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং হয়েছে। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের যে পাম্পটি বিকল্প হয়েছে, সেটি প্লেনে করে চীন থেকে আনা হচ্ছে। রবিবারের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিকল ইউনিট দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সিনিয়র সচিব জানান, এর আগে গ্যাস থেকে ৭০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যেত। গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় ৪৮০০ মেগাওয়াট পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপ পাওনা টাকা দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্থের সংকট নেই। আমরা সোনালী ব্যাংকে ১০০ মিলিয়ন টাকা দিয়ে দিয়েছি। ব্যাংক ডলারের সঙ্কটের কারণে পরিশোধ করতে পারছে না। আমরা আরো টাকা দিতে পারি। আশা করি আদানির বিদ্যুৎ পেতে কোনো সমস্যা হবে না।

দৈনিক সরোবর/এমই