ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় প্রশাসন চান না শিক্ষার্থীরা

সরোবর  ডেস্ক

 প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ০৮:৪৪ রাত  

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম- ‘অভিভাবকহীন বিশ্ববিদ্যালয়, সংকটের কারণ দলীয়করণ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য (ভিসি), সহ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ শীর্ষ পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মকর্তারা পদত্যাগ করছেন। তারা সবাই বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া। অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন বর্তমানে ৪৫টির মতো বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবকহীন।

‘অভিভাবকহীন’ হয়ে পড়ায় এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে না। নতুন নিয়োগও দেওয়া শুরু হয়নি।শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত সরকারগুলোর আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শীর্ষস্থানীয় পদে দলীয় আনুগত্য রয়েছে, এমন শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ হয়েছে।এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। ক্ষমতাসীন দলগুলোর ছাত্র সংগঠনও এই সুযোগে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে প্রভাব বিস্তার করে।শিক্ষা উপদেষ্টার মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব, প্রশাসনিক দিক দিয়ে সবার কাছে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।এরপর যত দ্রুত সম্ভব অন্তত প্রধান প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ দলীয়ভিত্তিক প্রশাসন চান না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর- ‘বাতিল হচ্ছে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য বা এমপি এবং বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ও চুক্তি বাতিল হওয়া কর্মকর্তাদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।পাসপোর্ট অধিদপ্তর তাদের পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

সাধারণত দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা লাল পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। যেটিকে কূটনৈতিক পাসপোর্ট বলা হয়।প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, উচ্চতর আদালতের বিচারপতি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সচিব, সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এবং বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের কর্মকর্তারাও এই পাসপোর্ট পান।লাল পাসপোর্টধারীদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না। তারা সংশ্লিষ্ট দেশে অবতরণের পর অন অ্যারাইভাল ভিসা পান। কূটনৈতিক পাসপোর্ট সব দেশেই লাল রঙের হয়ে থাকে।এ মুহূর্তে দেশে কত সংখ্যক লাল পাসপোর্ট রয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।লাল পাসপোর্টধারীরা ৪৫ দিন ভিসা ছাড়াই বসবাস করতে পারেন। এই পাসপোর্টের সুবাদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিসা ছাড়া ভারতে অবস্থান করছেন।এ সময়ের আগে যদি তার লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যায়, তাহলে তাকে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। একই সঙ্গে ভারতকেও এ নিয়ে চিন্তা করতে হবে।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম-‘বৃষ্টি ও ঢলে ডুবছে আট জেলা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে দেশের আট জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে।ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি জেলার প্রায় সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।বিভিন্ন স্থানে সড়কে ভাঙন ও পানি ওঠায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কোনো কোনো জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।সেসব জেলায় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বন্যার পানিতে ডুবে এক অন্তঃসত্ত্বাসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের চারটি নদীতেই পানি বেড়ে গেছে, যে কারণে সেখানকার একটি বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে তীব্র বেগে পানি প্রবেশ করছে।এতে নদ-নদীর বাঁধ ভাঙনে প্লাবিত হয়েছে কয়েকশ গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সেখানকার লাখ লাখ মানুষ।কয়েক স্থানে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ। তলিয়ে গিয়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, পুকুর, ফসলের জমি ও মাছের ঘের।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম- ‘White paper on state of economy in the offing’ অর্থাৎ ‘অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র আসছে’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে একটি শ্বেতপত্র তৈরি করবে, যাতে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফেরে, এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যায় এবং এলডিসি গ্রুপিংয়ের কারণে বাংলাদেশ যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সেগুলো কমাতে কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।

অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অর্থনীতিবিদ এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের একটি প্যানেলের প্রধান হবেন, যারা শ্বেতপত্র প্রনয়ন করবেন।সিটিজেনস প্লাটফর্ম ফর এসডিজির আহ্বায়ক এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে কমিটির সদস্যদের বেছে নেবেন।এই কমিটি ৯০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন হস্তান্তর করবে।বলা হচ্ছে, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের কারণে দেড় দশক ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম- ‘এনটিএমসি যেভাবে নজরদারি করতো’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাজনৈতিকভাবে কাউকে হেনস্তা করতে হলে আগে টার্গেট করা হতো ব্যক্তিকে। তারপর তার মোবাইল ফোনে আড়িপাতা হতো।ব্যক্তিগত বা স্পর্শকাতর আলোচনা প্রথমেই ফাঁস করা হতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তারপর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা হতো সে সব ফাঁস করা বিষয়গুলো ছড়িয়ে দিতে। দেশীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশে থাকা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকেও এ কাজে লাগানো হতো।আর এসব করা হতো ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মাধ্যমে। গত ১৫ বছরে হাজারেরও বেশি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।শুধু রাজনৈতিক নয় সরকারের বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিলে তার কল রেকর্ডও ফাঁস করা হয়েছে। এমন নজির রয়েছে ভূরি ভূরি।

তাই নাগরিকের মোবাইলে আড়িপাতা, নজরদারিতে রাখা, ফেসবুক-মেসেঞ্জার, এক্স, টেলিগ্রাম, ভাইবার, ইমো ও স্কাইপিতে এমনকি ওয়েবসাইট ব্লক ও ই-মেইলে আড়িপাতার অভিযোগ ওঠা বিতর্কিত টেলি যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এনটিএমসি’র বিলুপ্তির দাবি উঠেছে। ২০০৮ সালে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মোবাইল অপারেটরদের অর্থায়নে ডিজিএফআই ভবনে ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টার (এনএমসি) গঠিত হয়। যা ২০১৩ সালে এনটিএমসি নাম পায়।
 
নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম-‘BB frees Islami Bank from S Alam control.’ অর্থাৎ, ‘ইসলামী ব্যাংককে এস আলমের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক’।বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, ইসলামী ব্যাংকের প্রায় সব শেয়ারই এস আলম গ্রুপ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দখলে ছিল।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ বোর্ড ভেঙে দিয়েছে।সেইসাথে ব্যাংকটি পরিচালনার জন্য অস্থায়ীভাবে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকার চট্টগ্রাম ভিত্তিক এস আলম গ্রুপ এবং ইসলামী ব্যাংকের সহযোগীদের কাছে থাকা সমস্ত শেয়ারও বাজেয়াপ্ত করেছে এবং ব্যাংকের কাছে গ্রুপের দায় পুনরুদ্ধার করতে পরে সেই শেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে।বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ইতিমধ্যে গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত ছয়টি ব্যাংকে শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।এর আগে, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ১৮ই অগাস্ট এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করে।

২০১৭ সালে, এস আলম গ্রুপ জামায়াত-ই-ইসলামীর সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষমতাচ্যুত করার অজুহাতে একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার সহায়তায় ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল।গত সাত বছরে, গ্রুপটি বিভিন্ন বেনামে ব্যাংক থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে, যা ব্যাংকের মোট ঋণের অর্ধেক।
 
যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম-‘বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের মহোৎসব: বিপুর মাফিয়া সিন্ডিকেট’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এসব ঘটনাকে লুটপাটের মহোৎসব হিসাবে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।এসব অপকর্মের নেপথ্যে ছিল একটি মাফিয়া সিন্ডিকেট। এক যুগ ধরে এর নেতৃত্ব দিয়েছেন খোদ সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বসে সব অপকর্মকে নির্বিঘ্ন করতে যারা কলকাঠি নাড়তেন, তারা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ ও আহমেদ কায়কাউস।

যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে বরাতে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।জানা যায়, একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নেওয়া থেকে শুরু করে প্ল্যানিং, সাইট ভিজিট, মেশিনপত্র অনুমোদন দেওয়াসহ কমপক্ষে ২০টি ধাপে ওই সিন্ডিকেটকে টাকা দিতে হতো।এছাড়া পিডিবি চেয়ারম্যান কিংবা মন্ত্রী স্বাক্ষর করলে সেই স্বাক্ষরের পাশে সিল দেওয়ার জন্যও ঘুস দিতে হতো।পাশাপাশি লোভনীয় কমিটিতে পছন্দের কর্মকর্তাদের রাখা, পদোন্নতি, পোস্টিং দিয়েও এ চক্র হাতিয়ে নিত কোটি কোটি টাকা।বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালনা পর্যদে যাওয়ার জন্যও এ সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিত মোটা অঙ্কের টাকা।

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম- ‘প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার চিন্তা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের শাসনব্যবস্থায় আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলা হলেও কার্যত সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হন দেশের প্রধানমন্ত্রী।এবারে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কাটছাঁট করে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ও ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারে ভাবছে।বিষয়টি নিয়ে সরকারের প্রভাবশালী মহলে আলোচনা হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকা। গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের প্রভাবশালী একটি প্রতিষ্ঠানের সভায় ধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।তবে বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোসহ সার্বিক ক্ষমতা কাঠামোতে ভারসাম্য আনা বিদ্যমান সংবিধানের আওতায় সম্ভব নাও হতে পারে।এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হতে পারে। হয়তো শুধু নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠনও করা লাগতে পারে।জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহি থাকা নিশ্চিত করা ও ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার জন্য সংবিধানের বড় সংস্কার দরকার হবে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর- ‘নৃশংসতার ঘটনা তদন্তে আজ ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের কারিগরি দল’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত জুলাই ও অগাস্টের শুরুতে দেশজুড়ে সংঘটিত নৃশংসতার ঘটনাগুলো তদন্তের জন্য জাতিসংঘের একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল আজ ঢাকায় আসছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র গতকাল বণিক বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, জাতিসংঘের জেনেভা মিশন থেকে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলটি আজ ঢাকায় পৌঁছবে।এ দলের সদস্যরা তদন্তসংক্রান্ত প্রাথমিক মূল্যায়নের লক্ষ্যে সপ্তাহখানেক বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারেন।তাদের সফরের পর ঢাকায় আসবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর এই প্রথম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ। সূত্র:বিবিসি নিউজ বাংলা
 
দৈনিক সরোবর/এমই