মাকে সাহায্য করতে আস্ত রোবট বানিয়ে ফেললো ছেলে
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২২, ০৬:৩৪ বিকাল

ছবি: সংগৃহীত
বাড়িতেই মায়েদের কাজের কোনো শেষ থাকে না। রান্না করা থেকে শুরু করে বাড়ির যাবতীয় কাজকর্ম সুনিপুণভাবে সামলে ফেলেন তাঁরা। তবে, এই কাজ যে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমতাবস্থায়, বাড়ির কাজে মাকে সাহায্য করার জন্য এক অভিনব উপায় বের করল ১৭ বছরের এক কিশোর।
মূলত, মায়ের পরিশ্রম কমাতে একটি ‘Lady Robot’ তৈরি করে ফেলেছে সে।
এদিকে, এই খবর ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে সকলেই অবাক হয়েছেন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, কেরালার কান্নুর জেলায় বসবাসকারী ১৭ বছরের কিশোর মহম্মদ শিয়াদ এই রোবটটি বানিয়ে ফেলেছে। মূলত, রান্নাঘরে কাজ করার পাশাপাশি ওই রোবটটিকে খাবার ও পানীয় জল পরিবেশন করার কাজের জন্যই তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কিভাবে রোবট তৈরির ধারণাটি এল
এই প্রসঙ্গে মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই রোবট তৈরির বুদ্ধিটি করোনা মহামারীর সময়ে মহম্মদ শিয়াদের মাথায় আসে। সেই সময়ে শিয়াদ তার মার কাজ যাতে কমানো যায় সেই বিষয়ে ক্রমাগত চিন্তা করছিল। আর সেই চিন্তা থেকেই পরবর্তীকালে সে রোবটটি বানিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়।
খরচ হয় প্রায় দশ হাজার টাকা
তারপরই শিয়াদ এটি নিয়ে কাজ করতে শুরু করে। এমতাবস্থায়, ঘটনাচক্রে সেই সময়েই স্কুল থেকে একটি প্রজেক্ট পায় শিয়াদ। সেই প্রজেক্টের অধীনেই ওই রোবটটি তৈরি করে ফেলে সে। জানা গিয়েছে, রোবটটি তৈরি করতে প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়ামের শিট, মহিলা ডামি, সার্ভিং প্লেট ইত্যাদির ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে শিয়াদ জানিয়েছে, ওই রোবটে একটি আল্ট্রাসোনিক সেন্সর বসানো হয়েছে। এই সেন্সরের মাধ্যমে সেটি পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। রোবটটি তৈরি করতে প্রায় দশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
রোবটটির নামও দেওয়া হয়েছে
শিয়াদ আরো জানিয়েছে, এই রোবট তার মাকে সব কাজে সাহায্য করে। এমতাবস্থায়, এই রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে পাথুটি। এছাড়াও, সেটিকে মহিলাদের পোশাকেও সজ্জিত করা হয়েছে।
মূলত, রোবটটি রান্নাঘরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করার পাশাপাশি, খাবার পরিবেশনও করে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই রোবটের ছবিও ভাইরাল হতে শুরু করেছে। সর্বোপরি, মাকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে যেভাবে মহম্মদ শিয়াদ আস্ত একটি রোবট বানিয়ে ফেলেছে সেই কাজের জন্য সবাই তাঁর প্রশংসাও করেছেন।
দৈনিক সরোবর/আরএস