শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলনে ধানমণ্ডি আইডিয়ালের শিক্ষকরা
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩, ০৮:১৮ রাত

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গভর্নিং বডির অপসারণ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছেন ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকরা; তাদের সমর্থন জানিয়ে কর্মবিরতিতে নেমেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও একাংশ।
সোমবার ক্লাসসহ অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষকদের একটি অংশ কলেজের শহীদ মিনারের সামনে সামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ‘একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন’ এর ব্যানার টানিয়ে সেখানে তারা বক্তব্যও দেন।
এর আগে গত রবিবার ধানমণ্ডির কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান ও অনান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ সংবাদ সম্মেলন করে অনাস্থা প্রকাশ করেন। তারা বডির অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন।
এর অংশ হিসেবে সোমবার তারা আন্দোলন শুরু করেন। কলেজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান মনিরুল ইসলাম, জীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হুদা, ইংরেজি বিভাগের সেগুফতা ইসলাম, সিএসই বিভাগের প্রভাষক মারুফ নেওয়াজসহ প্রায় ৭০ জন শিক্ষক দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রমে যোগ না দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে আন্দোলনে অংশ নেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত গভর্নিং বডির সভাপতি ও তাদের ‘দোসররা’ পদত্যাগ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত কলেজে কোনো ক্লাস বা শিক্ষা কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকেও কলেজ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সিএসই বিভাগের প্রভাষক মারুফ নেওয়াজ বলেন, আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের এ কর্মসূচি চলতে থাকবে। সমস্যা নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সহযোগিতা পাব বলে আমাদের বিশ্বাস। যারা অনিয়মের সাথে জড়িত তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এমনটা প্রত্যাশা করি।
ক্লাস বর্জনে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সমস্যা তো কিছু থাকবেই। আমরা শিক্ষক, আমরা তো অভিভাবকও। আমরা চাই দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক, দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চাই। তবে তা একটি সমাধানের মধ্যে দিয়ে হতে হবে। দেয়ালে পিঠ না ঠেকলে এমন কর্মসূচি আসত না।’
ধানমণ্ডি এলাকায় স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত আইডিয়াল কলেজে বর্তমানে এইচএসসি পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক পর্যায়ের আটটি বিষয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
দৈনিক সরোবর/ আরএস