ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

বাংলাদেশের প্রশংসা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর

দেশের উন্নয়নে বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধে পদক্ষেপ নিন

সম্পাদকের কলম

 প্রকাশিত: মে ০৩, ২০২৪, ০২:৫৩ দুপুর  

দেশের ভেতর একটি রাজনৈতিক দল আছে; যারা পাকিস্তান বলতেই পাগল। বাংলাদেশকে তারা যতটা না ভালোবাসে, পাকিস্তানকে এর চেয়ে বেশি ভালোবাসে। কোন রাজনৈতিক দলের এ বৈশিষ্ট্য, তা অনেকেরই জানা। আমরা এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ যে আজ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, তা বিশ্ববাসী দেখছে। আর এটি স্বীকারও করে নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। অথচ দেখা গেছে, দেশের উন্নয়ন দেশের একশ্রেণির রাজনীতিবিদ ও তথাকথিত সুশীল এটি মানতে রাজি নয়; বরং তারা উন্নয়ন নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াতেই ওস্তাদ। এতেই তাদের মনের দৈন্যতা কতটা প্রকট, তা বোঝা যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সমহিমায় বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। কীভাবে উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য বদল করতে হয়, তা অন্য দেশ বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখছে। এটি সত্য যে কাক্সিক্ষত উন্নতি করতে আমাদের আরো পথ পাড়ি দিতে হবে। এ জন্য অনিয়ম-দুর্নীতির মূলোচ্ছেদ জরুরি। এটি সম্ভব হলে উন্নয়ন আরো তরান্বিত হবে এবং বিশ্বকে চমক দেয়া সম্ভব হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে অভিভূত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। প্রকাশ্যে তিনি তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। আমাদের উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে তাকালে এখন নিজেদের লজ্জা হয়। গত বুধবার করাচিতে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে বাংলাদেশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের বিকাশমান অর্থনীতির প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ তৎকালীন ‘পূর্ব পাকিস্তানের’ কথা স্মরণ করে বলেন, ওই সময় ‘পূর্ব পাকিস্তানকে’ দেশের বোঝা মনে করা হতো। কিন্তু তারা শিল্পায়নের প্রবৃদ্ধিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি তখন খুবই ছোট ছিলাম; যখন আমাদের বলা হতো যে, এটা আমাদের কাঁধে একটি বোঝা। আজ আপনারা সবাই জানেন, ওই ‘বোঝা’ কোথায় পৌঁছেছে। এখন আমরা যখন তাদের দিকে তাকাই, তখন আমরা লজ্জা বোধ করি।’

১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশ এখন আর্থসামাজিক খাতের প্রায় সব সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। আমরা বলবে, পাকিস্তানের সরকারপ্রধান যদি বাংলাদেশে কখনো আসেন, তাহলে আরো বিস্মত হবেন এ দেশের উন্নয়ন দেখে। বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে পাকিস্তান থেকে এগিয়ে আছে। দেশটির হয়তো পারমাণবিক বোমা আছে। কিন্তু দেশটির মানুষের খোদা মেটাতে পারছেন না এ বোমা। অন্যদিকে বাংলাদেশের মানুষ খেতে পায়। তাদের গড় মাথাপিছু আয়সহ দরিদ্রের সংখ্যা নিম্নমুখী। রাজধানী ঢাকা দেখলেই বোঝা যায় কত উন্নত শহর ঢাকা। মেট্রোরেলের পর পাতালরেল হচ্ছে। ঢাকার সঙ্গে পুরো দেশের যোগাযোগে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। আগামী দিনে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে। তখন পাকিস্তানের নেতারা যে আরো বিস্মিত হবেন, তা বলাই বাহুল্য।

দৈনিক সরোবর/এএস