উৎপাদিত পণ্যে কৃষকদের লোকসান দূরীকরণে সঠিক পদক্ষেপ দরকার
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫, ০২:৪২ দুপুর

আলু আর পেঁয়াজে কৃষকের উৎপাদন খরচও উঠছে না। এর পেছনের প্রেক্ষাপট আবার ভিন্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতের সবজি ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। একটি বড় সাইজের কপি পাওয়া যাচ্ছে ১০ টাকায়। চারা, সার ও শ্রমিক মজুরি দিয়ে এক একটি কপির খরচ হয়েছে যেখানে ২০ টাকার মতো; সেখানে তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে অর্ধেক দামে। তারা এর আগে ধান চাষ করে তখন কান্না করছিলেন বাজারমূল্যে পাননি বলে। ওই ধানের চাল কিনতে গিয়ে এবার ভোক্তাদের চোখে জল। তাই কে বেশি দাম নিয়ে তৃপ্তির হাসি হাসছে, তাকে খুঁজে বের করতে হবে রাষ্ট্রকে। না হলে কৃষক কাঁদবেন। একই সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভোক্তাদেরও কাঁদতে হবে। আর সিন্ডিকেটধারী মাফিয়ারা দাঁত বের করে হাসবে। এটি হতে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না।
বলা বাহুল্য, কৃষককে আলু ও পেঁয়াজের চাষ করতেই হয়। কারণ বাজারে এ দুটি পণ্যের আকাশছোঁয়া দাম থাকে। দেশে যখন আলু রোপণের মৌসুম চলছিল, তখন আলুর বাজারদর ছিল বেপরোয়া। বীজ আলু পেতে কৃষকদের কি নাজেহাল দশা হতে হয়েছে। অনেক দাম দিয়েও তারা ভালো বীজ সংগ্রহ করতে পারেননি। পেঁয়াজেরও একই হাল। তারা ভালো বীজ পেতে মরিয়া হয়েছিলেন। কিন্তু তা পেতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু বীজই নয়, তারা সার কিনতে গিয়েও নাকাল হয়েছেন। অনেক জায়গায় সার সংকট ছিল চোখে পড়ার মতো। আবার সার পেলেও দাম গুনতে হয়েছে বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি।
বলার অপেক্ষা রাখে না, কৃষক মরিয়া হয়ে আলু আর পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তাছাড়া ভারতের কৃষকরাও আলু আর পেঁয়াজে বাম্পার ফলন ফলিয়েছে। তারা বাংলাদেশে রপ্তানি করে অনেক ভালো অর্থের মুখ দেখেছিলেন। কিন্তু উভয় দেশের উৎপাদন বেশি হওয়ায় তা এখন কৃষকের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। তারা সব সময়ই উপেক্ষিত থাকেন। তাদের যেন দেখার কেউ নেই। আমাদের প্রত্যাশা, উৎপাদিত পণ্যে কৃষকদের লোকসান দূরীকরণে সঠিক পদক্ষেপ নেবেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক সরোবর/কেএমএএ