ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া-আশ্বিনা পাচ্ছে জিআই

রাজশাহী প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৩, ০৭:৫১ বিকাল  

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা জিআই) স্বীকৃতি পেতে পাচ্ছে। জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আবেদন করে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এসব তথ্য এরই মধ্যে জার্নালে প্রকাশ করছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিজাইন, পেটেন্ট ও ট্রেড মার্কস বিভাগ। কোনো প্রকার আপত্তি না থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যেই স্বীকৃতি মিলবে এসব পণ্যের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমের জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হয়। এটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুই এক দিনের মধ্যেই চলে আসবে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়িই আমরা জিআই স্বীকৃতি পাবো। এটি পেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪টি আমের জিআই স্বীকৃতি মিলবে।

মোখলেসুর রহমান বলেন, এর আগে ২০১৯ সালে ক্ষিরসাপাত আম ও ২০২২ সালে ফজলি আমে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ উভয় জেলা জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমের সব ধরনের তথ্য উপাত্ত দিয়েই আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি কোনো আপত্তি না থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই এটির জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা জিআই স্বীকৃতি পাবো।

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের সর্বশেষ মিটিংয়ে এই আম দুইটির জিআই স্বীকৃতির বিষয়ে জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা এগুলোর স্বীকৃতি পাবো।

জিআই একটি পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ ট্রেডমার্ক যেমন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় পরিচিতি দেয় জিআই একটি দেশের নির্দিষ্ট পণ্যকে পরিচিতি প্রদান করে। জিআই পণ্যের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বিশ্ববাজারে পণ্যটির ব্রান্ডিংয়ে যা সমমানের অন্য যেকোনো পণ্য থেকে জিআই পণ্যকে এগিয়ে রাখে।

কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং ওই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাহলে সেটিকে ওই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

দৈনিক সরোবর/আরএস