ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

রেকর্ড বৃষ্টিতে ডুবল নোয়াখালী, চরম দুর্ভোগে মানুষ 

নোয়াখালী প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: আগস্ট ০২, ২০২৪, ০৪:৫৬ দুপুর  

চব্বিশ ঘন্টার রেকর্ড বৃষ্টিতে ডুবেছে নোয়াখালী জেলা শহর। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেল থেকে টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে শহররের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাসাবাড়িতেও ঢুকছে পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষষ।

শুক্রবার বিকেল ৪টা দিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে  আজ শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা শহর মাইজদীতে ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি গত ২০ বছরের মধ্যে নোয়াখালীতে একদিনের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী নোয়াখালী আরও ২-১দিন হালকা বৃষ্টি হোতে পারে। তবে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা কম।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান বলেন,গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে অতিভারি বৃষ্টিতে রীতিমতো ভেসে গেছে মাইজদী শহর। ডিসি অফিস, এসপি অফিস, জজ কোর্টের সামনের সড়কসহ অধিকাংশ সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়া মাইজদীর প্রধান সড়কের টাউন হলের মোড়, জামে মসজিদের মোড়ে পানি উঠেছে। বিভিন্ন বাড়িতে পানি উঠে বাড়ির আঙিনা ডুবে আছে হাঁটু পানিতে, অনেকের ঘরে পানি ঢুকেছে। এ বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। সড়কের আশপাশের বাসাবাড়ির আঙিনায় এখনো বৃষ্টির পানি জমে আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জিল্লুর রহমান জানান, অফিস থেকে হাসপাতাল, বিপণিবিতান থেকে অলিগলি সব জায়গায় পানিতে ডুবু ডুবু অবস্থা। যদিও সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অফিসমুখী মানুষের ভিড় ছিল না। কিন্তু স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ চরম।

স্থানীয়রা বলছেন, তিন-চার ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই প্রায় তলিয়ে যায় নোয়াখালী শহরের অনেক সড়ক। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন রায় বলেন, সম্প্রতি অতি ভারী বর্ষণে নোয়াখালী শহরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা শুক্রবার বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সাংবাদিকবৃন্দকে উপস্থিত থেকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর নোয়াখালী শহর গড়ার লক্ষ্যে মূল্যবান মতামত প্রদানের  অনুরোধ করা হয়েছে।

দৈনিক সরোবর/এএস