ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

ভারি বৃষ্টিতে পানির নিচে চট্টগ্রাম

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি  

 প্রকাশিত: আগস্ট ০১, ২০২৪, ০৪:৫৭ দুপুর  

চট্টগ্রামে বুধবার (৩১ জুলাই) রাত থেকে থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরো বেড়েছে। এতে নগরের বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৪৯.৬ মিলিমিটার। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় এ বৃষ্টিপাত আগামী ২৪ ঘণ্টা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে চট্রগ্রাম আবহাওয়া অফিস। পরদিন থেকে কিছুটা কমার সম্ভাবনা আছে।

সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত। টানা বৃষ্টিতে নগরীর চকবাজার, কাপাসগোলা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চন্দনপুরা এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে অফিসগামী যাত্রীরা।

নাজিম হোসেন নামে এক সরকারি চাকুরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চকবাজার, বহদ্দারহাট এলাকায় পানি উঠায় যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এ রুটে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা হলেও আজকে অটো টেম্পুগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে আদায় করছে।

তার ভাষ্য, বৃষ্টি হলেই এই রুটে পানি ওঠে। তাই এই রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ‘স্বাভাবিক’ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চালকরা বলছেন, এলাকা ভেদে হাঁটু পরিমাণ পানি থাকায় কোথাও কোথাও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে পারছে না; যার কারণে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

এদিকে বহদ্দারহাট এলাকায় মূল সড়কের পাশাপাশি বিভিন্ন মার্কেটের নিচতলা প্লাবিত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর নগরীর কয়েক দশকের পুরনো জলাবদ্ধতা নিরসনে চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এগুলোর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।

এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ এর ৩৬টি খাল ঘিরে নেওয়া প্রকল্প। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। গত বছরের নভেম্বরে সংশোধনের পর প্রকল্প ব্যয় আরো ৩ হাজার ১০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো এর অধীনে আরেকটি প্রকল্প চলছে। ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা/জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ নামের প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।

দৈনিক সরোবর/এএস