গাজার সংঘাত বন্ধের ‘মুরোদ’ জাতিসংঘের নেই
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৩, ০৭:৫১ বিকাল

গাজার যুদ্ধে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে এ প্রস্তাব কতটা কার্যকর হবে সেটি নিয়েও সন্দেহ পোষন করেছেন, কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহজুব জুইরি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সংঘাত বন্ধের ‘মুরোদ’ জাতিসংঘের নেই বলে মন্তব্য করেছেন কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহজুব জুইরি।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমটির লাইভ আপডেটে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ে মন্তব্য করার পর সংস্থাটি নিয়ে এ মন্তব্য করেন মাহজুব।
হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছিলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই- বর্তমান পরিস্থিতিতে গাজায় সাবধানে থাকার মতো কোনো অংশ আছে, এমনটি আমরা বিবেচনা করতে পারছি না। এক কথায় গাজায় কোনো নিরাপদ এলাকা নেই।
চলমান আগ্রাসনের মধ্যে খান ইউনিস থেকে নিরাপদে শহরের পশ্চিম দিকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মূলত এই বিষয়টিতেই মন্তব্য করেন ভলকার তুর্ক। তিনি আরও বলেন, দখলদার হিসেবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করতে বাধ্য, যাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তারা যেন নিশ্চিত নিরাপত্তা পায়। একই সঙ্গে তাদের আশ্রয় ও খাবার খুঁজে পেতে সক্ষম হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের এসব কথা নিয়ে নিজ প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক মাহজুব জুইরি বলেন, আমরা জানি জাতিসংঘ একটি উপায়ে নির্দিষ্ট দেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ওই দেশগুলো ইসরায়েলি বর্ণনা মেনে নিয়েছে। তারা ইসরায়েলিদের দ্বারা নির্যাতিত হওয়াকে মেনে নিয়েছে। তারা মূলত জাতিসংঘের ওপর তাদের প্রভাব চাপিয়েছে।
মাহজুব আরো বলেন, আল শিফা কমপ্লেক্সে আমরা যা দেখি তা হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সংস্থাগুলোর অভাবের বহিঃপ্রকাশ। তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই, কোনো সরঞ্জামও নেই। এই সংস্থাগুলো কেনই বা রয়েছে? তথ্য সূত্র: আল জাজিরার
দৈনিক সরোবর/এএস