ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ৮ 

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: জুলাই ০৮, ২০২৩, ১২:৫৫ দুপুর  

পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গুলি, ছুরিকাঘাত ও বোমা হামলায়— ভোট গ্রহণ শুরুর প্রথম চার ঘণ্টার মধ্যেই অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

শনিবার রাজ্যের ২২টি জেলার ৬৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন, ৯ হাজার ৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন এবং ৯২৮টি জেলা পরিষদের আসনে নির্বাচন শুরু হয়।

রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এসব সহিংসতার জন্য একে-অপরকে দোষারোপ করেছে।

কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগ থেকেই হামলা, সংঘর্ষ চলছিল। নির্বাচনের দিন এগুলো প্রকট আকার ধারণ করে। রাজ্যের অসংখ্য জায়গায় গুলির ঘটনা ঘটে। কোথাও কোথাও বোমা হামলাও হয়।

আনন্দাবাজার আরো জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদে দুই তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সিপিএমের কর্মীরা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোচবিহারের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটেরহাট ৪/৩৮ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। মালদহের মানিকচকে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুরের চাপড়ায় তৃণমূলের এক কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে চকমরিচায় দুই আইএসএফ কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্ষমতাসীনরা।

এছাড়া কোচবিহারের সিতাইয়ে নির্বাচনের বুথে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ব্যালট প্যাপারও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এসব সহিংসতায় নির্বাচনের আগের ৩০ দিনে অন্তত ১৮ জন নিহত হন। নির্বাচনের দিন এ সংখ্যা আরো বেড়েছে।  

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার