‘দেবে যেতে থাকা’ জোশিমঠ শহর থেকে সরানো হল ৪ হাজার বাসিন্দাকে
প্রকাশিত: জানুয়ারী ১০, ২০২৩, ০৭:৩১ বিকাল

ভারতের ‘দেবে যেতে থাকা’ হিমালয় অঞ্চলের ছোট শহর জোশিমঠ থেকে চার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৬১৫১ ফুট (১৮৭৪ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত উত্তরাখণ্ড রাজ্যের শহরটির ৪৫ হাজার ভবনের মধ্যে ৬৭০টিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে মন্দির ও একটি রোপওয়েও আছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার থেকে ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ভূমি অবনমনের সম্ভাব্য বিপদের মাত্রা বিবেচনায় শহরটিকে তিনটি অংশে বিভক্ত করে ‘ডেঞ্জার’, ‘বাফার’ ও ‘পুরোপুরি নিরাপদ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘ডেঞ্জার’ অংশটি ৩৫০ মিটার প্রশস্ত বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এখানে রাস্তা ও ফুটপাতে বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে, দুটি হোটেল ভবন একে অপরের ওপর ঠেস দিয়ে আছে আর নলকূপ দিয়ে অনবরত পানি বের হচ্ছে যার কারণ পুরোপুরি পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘দেবে যেতে থাকা’ শহরটিকে দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে এর ভেতরে ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের নির্মাণ কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রায় চার হাজার মানুষকে নিরাপদ এলাকাগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জোশিমঠের ৩০ শতাংশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে আর তা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পেশ করা হবে।’
দৈনিক সরোবর/ আরএস