ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই দিনে ১২০ গলিত মরদেহ উদ্ধার

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ২২, ২০২৫, ১১:১০ দুপুর  

দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনে স্বজনদের মরদেহ খুঁজছেন যুদ্ধবিরতির পর নিজ নিজ এলাকায় ছুটে যাওয়া গাজাবাসী। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা রাফার ধ্বংসস্তূপের মাঝে মৃতদের দেহাবশেষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তবে কঙ্কাল ছাড়া মিলছে না কিছুই।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরইমধ্যে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির লাইফলাইন খ্যাত রাফার ধ্বংসস্তূপের মাঝে মৃতদের দেহাবশেষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা। যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে হারানো স্বজনদের খুঁজতে হতভাগ্য পরিবারের শতাধিক ফোন পেয়েছেন বলে জানান তারা।

এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, দুই দিনে গাজায় ১২০টি গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছি আমরা। কঙ্কাল ছাড়া আর কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই।

স্বাভাবিক জীবনযাপনের আশায় এরইমধ্যে শুরু হয়েছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। তবে ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে মঙ্গলবার গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে প্রায় ৯০০ ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামলা তীব্র করেছে ইসরায়েলি সেনারা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জেনিন শহরে অভিযান চালায় দখলদাররা। এতে অন্তত ১০ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। এ সময় গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন নিরীহ ফিলিস্তিনিকে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এই হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের বেশি নিহত হন। জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয় আড়াই শ জনের বেশি মানুষকে। তাদের মধ্যে অনেককে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

হামাসের হামলার দিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজা কর্তৃপক্ষের হিসাবে, এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ। সূত্র: আল জাজিরা

দৈনিক সরোবর/ইএইচপি