বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না আলু-পেঁয়াজ-ডিম
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩, ১২:৩০ দুপুর

আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কমিয়ে নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার, এ খবরে যারা আজ, শুক্রবার সকালে কম দামে কেনার আশায় বাজারে গেছেন, তাদের অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরেছেন। কারণ বেঁধে দেওয়া দাম মানছেন না বিক্রেতারা। আলু, পেঁয়াজ, ডিম এখনো বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই।
বৃহস্পতিবারবাণিজ্য মন্ত্রণালয় খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতিকেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। ঘোষণার পর থেকেই বাজারে এ দাম কার্যকর হওয়ার কথা। তবে পরের দিন শুক্রবারও সেটা হচ্ছে না।
শুক্রবার সকালে রামপুরা, মালিবাগ এবং শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি হালি ডিম আগের মতো ৫০-৫২ টাকা অর্থাৎ প্রতিটি সাড়ে ১২ থেকে ১৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি সাদা আলু ৫০ টাকা এবং লাল আলু ৫৫ টাকায় রয়ে গেছে। কমেনি পেঁয়াজের দামও। ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি করছেন না কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতাদের অজুহাতের শেষ নেই। কয়েকজন বিক্রেতা আবার বলছেন তারা নাকি বেঁধে দেওয়া দামের বিষয়টি জানেন-ই না। তবে অধিকাংশরা বলছেন বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে।
রামপুরা কাঁচাবাজারের এক মুদি পণ্য বিক্রেতা বলেন, সরকারের হিসাব আমাদের জানা নাই। আমরা বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করি, কমে কিনলে কমে বেচি।
ওই বাজারেরই আরেক বিক্রেতা বলেন, কাল মাত্র দাম কমিয়েছে শুনেছি। একটু সময় দেন। এগুলো মাল (পণ্য) শেষ হোক। আমরা যখন পাইকারিতে কম দামে কিনতে পারবো, তখন অটোমেটিক খুচরাই কমে যাবে। সরকারকে বলেন, পাইকারি বাজার তদারকি করতে।
মালিবাগ বাজারে এক ডিম বিক্রেতা বলেন, সরকার ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে, আমিও ১২ টাকা বিক্রি করবো। তবে ১০০ পিস নিতে হবে একসঙ্গে। কারণ পাইকারি ডিম কিনেছি ১২ টাকা দরে। এরপর ভাড়া ও অন্যান্য খরচ আছে। আমিতো আর লোকসানে বেচবো না। লোকসানের টাকা কি সরকার আমাকে দেবে?
এদিকে, বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেঁধে দেওয়া দাম বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) বাজার মনিটরিং করবেন। জেলা-উপজেলাসহ বড় বড় শহরে মনিটরিং চলবে। সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে।
তবে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর এই তিনটি বাজারে কোনো ধরনের মনিটরিং কার্যক্রম চোখে পড়েনি।