ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

রমজান শেষে পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান: বস্ত্রমন্ত্রী

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: মার্চ ০৫, ২০২৪, ০৫:০৭ বিকাল  

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মানবজীবন হরণকারী পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে রোডম্যাপ অনুসারে রমজান শেষে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

রাজধানীর সচিবালয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি৷

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, পলিথিন বন্ধ করে পাটজাতপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করতে সোনালী ব্যাগ নামে একটা পাটজাত ব্যাগ তৈরি করেছি৷ আমরা সোমবর (৪ মার্চ) ডিসি সম্মেলনে ডিসিদেরও বলেছি৷ পবিত্র মাহে রমজানের কারণে এই মুহূর্তে বাজারে কোনো ধরনের খোঁচা দিতে চাইনি৷ আমরা বাজারকে অস্থিতিশীল করতে দিতে চাই না৷ সে কারণে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিসি সাহেবদের প্রস্তুত থাকার কথা বলেছি৷ রমজানে যে সব মিলাররা বস্তা ব্যবহার করে তাদেরকে এনে সভা এবং কাউন্সিলিং করার কথা বলা হয়েছে৷ রোজার পরে এ বিষয়ে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷

মন্ত্রী বলেন, আমরা আরেকটি কথা বলে রাখতে চাই। ইতিমধ্যেই পরিবেশ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সব মন্ত্রী মিলে আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি মানবজীবন হরণকারী এই পলিথিন বন্ধে একটি যৌথ সভা করা হবে৷ সেই যৌথ সভায় আমরা একটি রোডম্যাপ করব৷ সেই রোডম্যাপ অনুসারে আমরা পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব৷

নানক বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এর আওতায় ১৯ টি পণ্যে পাটের মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ আইনটি প্রয়োগের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতিবছর পাট পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পাটমন্ত্রী বলেন, পাট মৌসুমে হাট-বাজারে নজরদারি জোরদার এবং নিয়মবর্হিভূত মজুদ রোধে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। এতে মিল মালিকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে। যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে, চাষীরাও পাটের সঠিক মূল্য পাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে। জেডিপিসির নিবন্ধিত উদ্যোক্তারা ২৮২ রকম দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এসব মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

দৈনিক সরোবর/বি কে