ঢাকা, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

বাড়তি দামেই বাজারে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ, দিশাহারা ক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৫, ১২:৫৭ দুপুর  

সবজি, মুরগি, মাংস, ডিমের দাম বিভিন্ন সময় ওঠানামা করলেও মাছের দাম আগের মতো বাড়তিই রয়ে গেছে। অতিরিক্ত বাড়তি দামেই বাজারে সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। এতে করে মাছ কিনতে ক্রেতাদের অস্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।  আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে মাছের এমন অতিরিক্ত দাম দেখা গেছে। 

বাজারে  পাঙাস,  চাষের কই, তেলাপিয়া মাছের দাম তুলনামূলক কম থাকায় এগুলোরই বেশি চাহিদা থাকে। কিন্তু বর্তমান বাজারে এসব মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে। আজকের বাজারে চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, শোইল মাছ প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, মলা প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাঙাস প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, বড় পুঁটি প্রতি কেজি  ২৫০ টাকা, টাকি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা এবং তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ফয়সাল আহমেদ বলেন, সব ধরনের মাছ দীর্ঘদিন ধরেই অতিরিক্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা আর ভালো মাছ কিনে খেতে পারেন না। আজকেও বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি,। অথচ বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ দেখি না। বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছামতো দাম চেয়ে বসে থাকছে। 

মালিবাগ বাজারের ক্রেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাজারে পাঙাস, তেলাপিয়া, কই মাছেই ভরসা সাধারণ ক্রেতাদের। অন্য সব ধরনের মাছের দাম অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে মানুষ এই মাছগুলো কিনে খেতো। বর্তমানে এগুলোর দামও বাড়তি। আজ চাষের কই কিনলাম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে। অথচ এটাই ২৫০ টাকা করে আগে কিনতাম। ভালো কোনো মাছ তো কিনে খাওয়ার অবস্থা সাধারণ ক্রেতাদের নেই। সবসময়ই মাছের অতিরিক্ত বেশি দাম থাকে। অন্য বাজার ওঠানামা করলেও মাছের বাজার একদম মনে হয় ফিক্সড হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে।  

মাছের দামের বিষয়ে রামপুরার মাছ বিক্রেতা আব্দুস সোবহান বলেন, অনেক দিন ধরে মাছের দাম একই রকম রয়েছে। আমরা পাইকারি বাজারে মাছ কিনতে গেলে সেখানেই বেশি দামে আমাদের কিনতে হয়, এরপর আছে পরিবহন খরচ, দোকান ভাড়া, লেবার খরচ। সব মিলিয়ে দাম বর্তমানে বেশিই পড়ে যাচ্ছে। আমরা পাইকারি যেমন দামে কিনি তার থেকে কিছুটা লাভ ধরে বিক্রি করি। 

দৈনিক সরোবর/কেএমএএ