সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ডে পাঠানো হলো গণঅভ্যুত্থানে আহত ৩০ জনকে
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫, ০৯:০৩ রাত

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
রবিবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর থেকে আগত চিকিৎসক দলসহ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়েছে৷
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, এই সরকার একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে দায়িত্ব নিয়েছে।
ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে কাজ শুরু করতে হয়েছে। তারপরও জুলাই গণহত্যায় নিহত ও আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়নি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এবার সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞদল এসেছেন চিকিৎসা দিতে। এর মধ্যে তারা রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। গণঅভ্যুত্থানে আহতদেরকে চিকিৎসা দিতে এর আগে পাঁচটি দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বাংলাদেশে এসেছিলেন। জুলাই আন্দোলনে এ পর্যন্ত বিদেশে চিকিৎসার জন্য ৩০ জনকে পাঠানো হয়েছে। মুসা নামের আহত একজনের চিকিৎসায় ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আরেকজনের জন্য ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আহত নিহতদের বিদেশে চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত ১৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এ খরচ শুধুমাত্র ১৫ জনের জন্য। চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে ২০ কোটি টাকা। আরো কত টাকা লাগতে পারে সে হিসেব এখনও হয়নি।
এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রফেসর সায়েদুর রহমান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান যাদের আত্মত্যাগের কারণে হয়েছে তাদের ত্যাগকে অস্বীকার করার দুঃসাহস সরকারের নেই। তাই তারা যে কারণে আন্দোলন করছেন সেগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার উদ্যোগ সরকারের। আহতরা যে কারণে মনকষ্ট নিয়ে আন্দোলন করছে তাদের সেসব দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে এখন কাজ করা হবে। কোনোভাবেই সরকার তাদের দাবি দাওয়াকে অবহেলা করছে না।
তিনি বলেন, তাদের দাবি অনুযায়ী ক্যাটাগরি অনুযায়ী আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। সেজন্য নতুন করে তালিকা তৈরি করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ছবিসহ আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আহতদের নামের তালিকা পাঠানোর সময় দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক সরোব/এএস