ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

হামাসের ভয়াবহ হামলায় ১৮৬ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত

সরোবর ডেস্ক 

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৩, ০৬:২১ বিকাল  

ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ। বৃহস্পতিবারও উভয়পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা অব্যাহত আছে। ভয়াবহ এই যুদ্ধে গাজায় নিহত হয়েছেন এক হাজার ৩৫৪ জন ফিলিস্তিনি। অপর দিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ গেছে অন্তত এক হাজার ৩০০ জনের।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩৫৪ জনে পৌঁছেছে। আর এতে আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৯ জন। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় অন্তত ১ হাজার ৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শত শত মানুষ।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি হামাসের সাথে চলমান যুদ্ধের হালনাগাদ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে গাজা সীমান্ত লাগোয়া ইসরায়েলের ভূখণ্ডজুড়ে ইসরায়েলি কোনও সম্প্রদায় নেই। তাদের সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

হ্যাগারি বলেন, হামাসের যোদ্ধারা এখনও ওই অঞ্চলের ভেতরে আছেন কি না তা জানতে জরিপ করছেন ইসরায়েলি সৈন্যরা। বুধবার জিকিম এলাকায় হামাসের সদস্যদের সঙ্গে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, পুরো যুদ্ধের যেকোনও দৃশ্যপটের ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। চলমান যুদ্ধে ১৮৬ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ৬০ সৈন্যকে জিম্মি করেছেন।

হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজা সীমান্তের কাছে তিন লাখ সেনা জড়ো করেছে ইসরায়েল। ধারণা করা হচ্ছে, তারা যেকোনও সময় গাজার ভেতর ঢুকে স্থল হামলা শুরু করতে পারে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজার কাছে সেনা ছাড়াও অসংখ্য ট্যাংক, কামান ও সামরিক বুলডোজার জড়ো করেছে। তবে ইসরায়েল সেনাদের জড়ো হওয়া এবং গাজায় সম্ভাব্য হামলা নিয়ে হামাস শঙ্কিত নয় বলে জানিয়েছেন— স্বাধীনতাকামী এ গোষ্ঠীর নেতা গাজী হামাদ।

তিনি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, আমরা ভয় পাই না। আমরা শক্তিশালী মানুষ। এই অভিযান অব্যাহত রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের অনেক যোদ্ধা এবং সমর্থক আছেন; যারা আমাদের সহায়তা করতে চান।

তিনি আরো বলেছেন, এমনকি জর্ডান সীমান্ত, লেবানন এবং সব জায়গার মানুষ এখানে আসতে চায় এবং আমাদের জন্য লড়াই করতে চায়। গাজা কোনো (ফুলের) বাগান নয়। তারা যদি কোনও হামলা চালায় তাহলে এটি তাদের জন্য খুবই ব্যয়বহুল হবে।

গাজাভিত্তিক হামাসের এই নেতা আরো বলেছেন, অভিযান শুরুর পর আমরা ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ যোদ্ধাকে পাঠিয়েছি। যারা ইসরায়েলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সমর্থ হয়েছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা, ইসরায়েলের গোয়েন্দা তথ্য এবং ইসরায়েল যে একটি সুপার পাওয়ার সেই ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সমর্থ হয়েছে। তথ্য সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স।

দৈনিক সরোবর/এএস